
ত্বকের পরিচর্যার দিন দিন ফেস মাস্কের চাহিদা বাড়ছে। কেউ বেছে নিচ্ছেন ক্লে মাস্ক, কারও পছন্দ ডিআইওয়াই মাস্ক। আবার সময়ের অভাবে অনেকেই জোর দিচ্ছে পিল-অফ মাস্কের উপর। কিন্তু পিল-অফ মাস্ক ব্যবহারের উপকারিতা, জানেন কি?

আপনার মুখের উপর যদি ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস বাসা বাঁধে, পিল-অফ মাস্ক সেরা সমাধান এনে দিতে পারে। পিল-অফ মাস্ক ত্বকের উপরিতলে জমে থাকা ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস দূর করে দেয়।

ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডসের পাশাপাশি ত্বকে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ দূর করে দেয় পিল-অফ মাস্ক। যে হারে দূষণের মাত্রা বেড়েছে, তাতে ত্বক ডিটক্সিফার করা জরুরি। আর এই কাজটা করে পিল-অফ মাস্ক।

ফেসিয়াল হেয়ার দূর করতে অনেকেই থ্রেডিংয়ের সাহায্য নেন। এই পদ্ধতিতে লোম উঠলেও বেশ ব্যথা হয়। কিন্তু পিল-অফ মাস্ক ব্যবহার করলে কোনও রকম ব্যথা ছাড়াই আপনি মুখের অবাঞ্ছিত লোম তুলে ফেলতে পারবেন।

ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করতে সাহায্য করে পিল-অফ মাস্ক। তৈলাক্ত ত্বকের উপর দুর্দান্ত কাজ করে এই মাস্ক। পিল-অফ মাস্ক ব্যবহারে ত্বকের উপর মসৃণ এফেক্ট পাওয়া যায়।

ত্বকের উপরিতলে জমে থাকা মরা কোষ দূর করতে সাহায্য করে পিল-অফ মাস্ক। এছাড়া ওপেন পোরস পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এই মাস্ক। এতে নিস্তেজ ত্বকের জেল্লা ফুটে ওঠে। পাশাপাশি ত্বক ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা কমে।

সুস্থ ত্বকের জন্য এর আর্দ্রতা বজায় রাখা দরকার। ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় থাকলে ত্বকের সমস্যা ধারে কাছে ঘেঁষে না। পিল-অফ মাস্ক আপনার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

সপ্তাহে একদিন আপনি পিল-অফ মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু খুব বেশি পিল-অফ মাস্ক ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ত্বকের উপর টান পড়ে এবং চামড়া আলগা হয়ে যায়। এতে অকাল বার্ধক্য দেখা দিতে পারে।