
শীত মানেই বাজার ছেয়ে যায় ফুলকপি আর বাঁধাকপিতে। এরপর প্রায় দু মাস ধরে শুধুই এই সবজি খেতে হবে। তবে সদ্য বাজারে ওঠা ফুলকপি আর বাঁধাকপির কিন্তু কোনও তুলনা নেই

শীতের নরম ফুলকপি দিয়ে একাধিক তরকারি বানানো যায়। মটরশুটি, ফুলকপি আর আলুর তরকারি যেমন খেতে ভাল লাগে তেমনই ফুলকপি দিয়ে মাছের ঝোল, ফুলকপির রোসিট এসবও দারুণ লাগে

তবে রান্নার কাজে ফুলের অংশটুকু নিয়ে বাকিটা ফেলে দেওয়া হয়। এই বাকি অংশ ফেলে না দিয়ে বা গরুকে খাবার হিসেবে না দিয়ে তা কাজে লাগান অন্যভাবে। বানিয়ে ফেলুন দারুণ স্বাদের এই তরকারি

ফুল ছাড়িয়ে প্রথমে ডাঁটা আলাদা করে নিতে হবে। এরপর ডাঁটার গায়ে যে পাতাগুলো রয়েছে সেগুলি ছিঁড়ে ফেলুন। ফুলকপির পাতা বেটে খেতেও খুব ভাল লাগে। আগে পাতাগুলো ছাড়িয়ে নিতে হবে ভাল করে

এবার ডাঁটা গুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এতে ডাঁটাগুলো খুব সহজে সেদ্ধ হয়ে যাবে। একটা কড়াইতে হাফ কাপ জল গরম করতে বসিয়ে একটু নুন দিয়ে তা ভাপিয়ে নিতে হবে। তার আগে ডাঁটা ধুয়ে নেবেন

৩-৪ মিনিট বেশি আঁচে ভাপিয়ে নিন। এবার মিক্সিতে এক চামচ সাদা সরষে, এক চামচ কালো সরষে, দুটো কাঁচালঙ্কা, একটু নুন, অল্প একটু জল, একটু নুন দিয়ে মিহি পেস্ট বানিয়ে নিন

কড়াইতে সরষের তেল গরম করে ওতে তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, কালোজিরে দিয়ে থেঁতো করা হাফ চামচ রসুন দিয়ে ভেজে লম্বা করে কাটা আলু আর ডুমো করে কাটা কুমড়ো দিয়ে ভেজে নিন। এবার লম্বা করে কাটা বেগুন, শিম দিয়ে ভেজে হাফ চামচ হলুদ, স্বাদ মতো নুন দিন। ভাপিয়ে রাখা ফুলকপির ডাঁটা আর চেরা কাঁচালঙ্কা দিন। ঢাকা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিতেও ভুলবেন না। ঢাকনা সরিয়ে মাঝেমধ্যে মিশিয়ে আবারও কষিয়ে নিতে হবে

সবজি সেদ্ধ হলে একটু চিনি দিন। আবারও সব মিশিয়েআগে থেকে বেটে রাখা সরষে দিয়ে মেশান। হাফ কাপ জল দিন। আবারও সব মিশিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। তৈরি ডাঁটাচচ্চড়ি, গরম ভাতে এই তরকারি খুবই ভাল লাগে খেতে