
চিন দেশের খাবার চাউমিন। তবে সেই দেশে যেভাবে ন্যুডলস বানানানো হয় আমাদের এখানে পদ্ধতি অনেকটাই পৃথক। যে কারণে স্বাদেও ফারাক থাকে। রেস্তোরাঁতে বানানো চাউমিনের স্বাদ একরকম আর বাড়িতে অন্যরকম

বিশেষত টিফিনের জন্য মায়েরা বাড়িতে যে চাউমিন বানিয়ে দেন তার স্বাদই হয় অন্যরকম। যদিও সেই চাউমিনে চিন দেশের পরিবর্তে বাঙালি রান্নাঘরের ছোঁয়া থাকে অনেক বেশি। আর সেই কারণেই সবজি দিয়ে বানানো এই চাউমিন খেতে এত ভাল লাগে

শীতের দিনে বাড়িতে বানানো চাউমিন খাওয়ার ধুম বাড়ে। এই সময় যে গাজর, বিনস, পেঁয়াজকলি, মটরশুঁটি, ক্যাপসিকাম পাওয়া যায় তাই দিয়ে চাউমিন খেতে বেশ লাগে। উপরে আবার বাদাম ছড়ানো থাকে। তাই রইল বাঙালি স্টাইল চাউমিনের দারুণ একটি রেসিপি

এভাবে শীতের চাউমিন বানালে বজায় থাকবে মায়ের হাতের স্বাদ। প্রথমে কড়াইতে জল গরম করতে বসিয়ে এক চামচ নুন আর এক চামচ সাদাতেল দিয়ে চাউমিন সেদ্ধ করে নিতে হবে। এই সময় চাউমিন ভাঙবেন না। গোটা গোটা ফেলে দেবেন। চাউমিন সেদ্ধ হলে স্ট্রেনারে দিয়ে ঠান্ডা জলে ধুয়ে নিন

এবার চাউমিনতে সাদা তেল মাখিয়ে নিন। তাহলে একটার সঙ্গে অন্যটা লেগে যাবে না। কড়াতে এক চামচ তেল গরম করে একমুঠেো চিনেবাদাম দিয়ে লাল করে ভেজে নিন। বাদাম তুলে রাখুন। ফুলকপি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে আগে ভাপিয়ে নিন। কড়াইতে আরও এক চামচ তেল দিয়ে ফুলকপি ভেজে নিতে হবে

ফুলকপি বেশি আঁচে ভেজে নিয়ে অল্প নুন দিন, কুচিয়ে নেওয়া আলু মিশিয়ে ভেজে নিতে ভুলবেন না। আলু ফুলকপি কড়াই থেকে তুলে আরও এক চামচ তেল দিয়ে খুব মিহি করে কুচনো আদা-লঙ্কাকুচি দিন। এবার ঝিরি ঝিরি করে কাটা গাজর-বিট মিশিয়ে দিন এই সবজির মধ্যে

শীতের খাবারে বিট অন্য স্বাদ যোগ করে। বিনস, ক্যাপসিকাম কুচি দিয়ে ভেজে নিন। এবার সেদ্ধ করে রাখা চাউমিন ও আগে থেকে ভেজে রাখা আলু, ফুলকপি, বাদাম দিন

এবার তা ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। ৫ মিনিট ভেজে অর্ধেক পাতিলেবুর রস, গোলমরিচের গুঁড়ো আর ভেজে রাখা জিরে গুঁড়ো করে মিশিয়ে দিন এতে। এভাবে সব মিশিয়ে ভেজে নিতে হবে, এর মধ্যে একটু টমেটো সস মেশান। নামানোর আগে লঙ্কা কুচি করে ছড়িয়ে দিন