
শীতের দিনে চা একটু বেশিই খাওয়া হয় আর চা খেতে বেশ ভাল লাগে। শীতের চায়ের অন্যরকম একটা আমেজ থাকে। শীতের সকালে ধোঁওয়া ওঠা চা সঙ্গে থাকলে আর অন্য কোনও কিছুরই প্রয়োজন পড়ে না

চা অনেক ভাবে খাওয়া যেতে পারে। কেউ খায় লিকার কেউ খায় দুধ চা। চা শরীরের জন্য খারাপ নয়, চায়ের মধ্যে যে ক্যাফিন থাকে তা শরীরের অনেক কাজে লাগে। তবে দুধ চা খুব বেশি খাওয়া ঠিক নয়। এতে শরীরে উপকারের থেকে ক্ষতি বেশি হয়

আর তাই চাইলে লিকার চা খান। আদা, গোলমরিচ থেঁতো করে তা দিয়ে চা বানাতে পারেন। সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করতে খুবই ভাল কাজ করে এই চা। এছাড়াও হজমের সমস্যা হলেও এই চা খেতে পারেন। এতে শরীর ঠিক থাকবে সেই সঙ্গে হজমেও কোনও রকম সমস্যা হবে না

এখন বাড়িতে অতিথি এলে এইভাবে চা বানিয়ে নিন। এতে চা খেতে খুবই ভাল হবে। গ্যাস অন করার আগেই একটা বাটিতে আড়াই চামচ চিনি গরম করতে দিন। ২ চামচ গুঁড়ো চা পাতা দিন, একটু ছোট দারুচিনি থেঁতো করে দিন

গ্যাস অন করে ফ্লেম একদম কমিয়ে রাখুন। চিনি আর চা পাতা একটু নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। চিনি গলতে শুরু করবে, আর হালকা বাদামী রং ধরবে। এবার এতে ২ চাপ জল দিতে হবে। অনবরত নাড়তে থাকুন যাতে চিনি গলে যায়। এতে সব উপকরণ ভাল করে মিশে যাবে

আঁচ কমিয়ে চা বসিয়ে দিন। আদা থেঁতো করে চায়ের মধ্যে দিয়ে দিন। এবার তা ফুটতে দিন। ফুট আসলেই এক কাপ দুধ এতে মেশাতে হবে। দুধ নাড়তে থাকুন আর ভাল করে ফোটাতে থাকুন। অনবরত নাড়লেই চায়ের স্বাদ ভাল হবে

যতক্ষণ না দুধ কমে আসছে ততক্ষণ ফোটাতে থাকুন। তিন কাপ চায়ের মাপে জল নিলে তা কমিয়ে ২ কাপ করে নিতে হবে। ভাল করে নেড়ে চেড়ে এবার তা ছেঁকে নিতে হবে। এই চায়ে আলাদা করে চিনি মেশানোর কোনও প্রয়োজন নেই

গরম গরম খেয়ে নিন তন্দুরী চা। একদিন এই চা খেয়ে দেখুন। খুবই ভাল লাগবে খেতে। দুধ যখন মেশাবেন তা যেন গরম থাকে। ফ্রিজের ঠান্ডা দুধ মেশাবেন না। এছাড়াও পাউডার দুধ মিশিয়ে চা বানালে আরও দারুণ খেতে হবে।