
প্রতিদিন দেশ, রাজ্য, শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যেতে ট্রেনকেই বেছে নেন কোটি কোটি মানুষ। স্কুল-অফিস থেকে অনান্য কর্মক্ষেত্রে যেতে অনেকের ভরসা এই ট্রেন। কম খরচে দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে বড় ভরসা। নিত্য যাত্রীদের বিষয়টা এক রকম। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বিপদে পড়তে হয় দূরপাল্লার যাত্রীদের।

সস্তা হওয়ায় ট্রেনে ভিড় লেগেই থাকে। তাই শেষ মুহূর্তে কোনও দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট পাওয়া যেন ভগবানের দেখা পাওয়ার সমান। তাই রেলওয়ের তরফে কিছু টিকিট আগে থেকেই আপৎকালীন সংরক্ষণ করে রাখা হয়। যা বেশি দাম দিয়ে তৎকল কোটায় কাটতে হয়।

মুশকিল হল তৎকাল কোটায় টিকিট কাটতে গেলেও অনেক সময় তা পাওয়া যায় না। টিকিট পেতে বাধ্য হয়ে এজেন্ট ধরতে হয়। যার জন্য আরও ৪০০-৫০০টাকা বাড়তি খরচা। হলে উপায়? কিছু ট্রিকস আছে যা মেনে চললে নিজেই কাটতে পারবেন তৎকাল টিকিট। কী সেই উপায়?

তৎকাল টিকিট শেষ মুহূর্তে কাটতে হলেও তার প্রস্তুতি সারতে হবে আগেই। কোথায় যাচ্ছেন, কোন তারিখে যাচ্ছেন, কোন ট্রেনে যাবেন, এই সমস্ত বিষয় অন্তত দুদিন আগে থেকে চূড়ান্ত করে ফেলুন। তৎকাল টিকিট সাধারণত যাত্রার আগের দিন সকাল ১০ টা এবং ১১ টা থেকে পাওয়া যায়।

একাধিক ফোন বা ডিভাইস থেকে এক সঙ্গে টিকিট বুকিং করার চেষ্টা করুন। কোন ডিভাইসে আগে সুযোগ পেয়ে যাবেন তা বলা সম্ভব নয়। একাধিক ডিভাইস থাকলে সুবিধা হবে। পরিবারের অন্য কোনও সদস্যদের সাহায্য নিতে পারেন। টিকিট কনফার্ম হওয়ার চান্স বাড়ে।

তৎকাল টিকিটের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট স্পিড সবথেকে বড় ফ্যাক্টর। অত্যন্ত দ্রুত ইন্টারনেট কানেকশন চাইই চাই। লগইন আইডি, পাসওয়ার্ড, যাত্রীর নাম, বয়স, আধার নম্বর, ট্রেন নম্বর সব আগে থেকেই সাজিয়ে রাখুন। টাইপ করতে অনেক সময় চলে যেতে পারে।

টিকিট কাটার সময় লোয়ার বার্থকে বেছে নিন। লোয়ার বার্থ সাধারণত প্রবীণ নাগরিক, শিশু বা মহিলা যাত্রীদের জন্য অগ্রধিকার দেওয়া হয়। লোয়ার বার্থ বেছে নিলে টিকিট কনফার্ম হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।

যতটা সম্ভব ব্যস্ত সময়গুলোকে এড়িয়ে চলুন। অনেকেই ছুটির দিন, শনিবার বা রবিবার ভ্রমণের পরিকল্পনা করে ফেলেন। তা ছেড়ে উইকডেজ বেছে নিন। অনেক সময় বুকিং-র পর কিছুক্ষণ পেন্ডিং স্ট্যাটাসে থাকে টিকিট। তাই একটু অপেক্ষা করুন। কিছু পরে ম্যাসেজ আসতে পারে। সব ছবি - PTI and Getty Images