
রোজ কী রান্না হবে এই মেনু ঠিক করতে আর বাজার করতেই গলদঘর্ম অবস্থা গৃহিণীদের। বাজার থেকে পছন্দমতো অনেক কিছুই তো কিনে আনা যায়। এবার তাই দিয়ে কী রান্না করা যায় এই ভাবনাতেই দিন কাবার

দুপুরের রান্না, ব্রেকফাস্ট, টিফিন, রাতের খাবার-এই এতগুলো রান্না কি আর চাট্টিখানিক কথা! তারপর সবার পছন্দ-অপছন্দের দিকে নজর রাখতে হয়। রোজ রোজ একই খাবার খেতেও ভাল লাগে না

খাবারের মধ্যে যাতে যথাযথ পুষ্টি থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। ক্যালোরি মেপে খাবার খাওয়া অভ্যাস করুন। কার্বোহাউড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট সবই নিয়মিত ভাবে খাওয়া জরুরি। বাড়িতে ডায়াবেটিসের রোগীরাও থাকেন। তাদের কথাও মাথায় রাখতে হয়

একদিন ঘুঘনি, একদিন চানা, কোনদিন তড়কা, কোনদিন আলুর দম- রাতের খাবারে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সাধারণত এই সবই রাখা হয় মেনুতে। আবার পনিরও বানিয়ে খান অনেকে। একদিন এর মধ্যে বানিয়ে নিন ছানার কালিয়া। এই কালিয়া খেতে খুবই ভাল হয়

মিষ্টির দোকান থেকে ছানা ভাজা বা ছানার মুড়কি কিনে আনুন। এতে অনেক দ্রুত রান্না করা যায়। কড়াইতে সরষের তেল দিয়ে শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনি, গোটা জিরে আর একটু জায়ফল গ্রেট করে দিন

এবার হাফ চামচ হলুদ, কাশ্মীরী লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে, দুটো টমেটো বাটা এতে মিশিয়ে কষান। এরপর থেঁতো করা আদা-কাঁচালঙ্কা এক চামচ মিশিয়ে দিন। লো ফ্লেমে সবকটি উপাদান খুব ভাল করে কষিয়ে স্বাদমতো নুন চিনি দিতে হবে।

এবার জিরে-ধনে গুঁড়ো আর অল্প জল দিন। ১০ টি কাজুবাদাম একসঙ্গে বেটে একটা পেস্ট বানিয়ে রাখুন। এই মশলা এবার রান্নায় যোগ করুন। গ্যাসের ফ্লেম একেবারে কমিয়ে টকদই এতে মিশিয়ে নিতে হবে

এবার ওই মশলার মধ্যে হাপ কাপ জল দিয়ে ফুটতে দিয়ে ওর মধ্যে ছানার মুড়কিগুলো ছেড়ে দিতে হবে। যত ঠান্ডা হবে ততই ঝোল টানবে। শেষে একটু ঘি আর জায়ফলের গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে গ্যাস অফ করে দিতে হবে