
বাঙালির হেঁশেলের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ঘি। তবে এটি শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না। ত্বকের যত্নেও দারুণ উপকারী এই উপাদান। ত্বকের হাজার সমস্যা মেটায় ঘি। শুধু জানতে হবে সঠিক ব্যবহারয

ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতে, কালো দাগছোপ দূর করতে ও জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে ঘি। এছাড়া ঘি কে ত্বকের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু তার জন্য সঠিক উপায় জানা জরুরি। জানুন তার জন্য কী করতে হবে।

ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে ঘি। তাই ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ঘি। এর জন্য দুই-তিন চামচ গলানো ঘি নিয়ে তাতে সমপরিমাণ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মুখে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন।

হ্য়ান্ড ক্রিম হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন ঘি। এর জন্য দুই-তিন চামচ গলানো ঘি নিন এবং তাতে দুই-তিন চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। আপনার হ্যান্ড ক্রিম প্রস্তুত। আপনি চাইলে নারকেল তেলের পরিবর্তে বাদাম তেলও ব্যবহার করতে পারেন।

ফাটা ঠোঁট নরম ও গোলাপি করতেও ঘি ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে দুই-তিন ফোঁটা ঘি খান। তারপর এটি আপনার ঠোঁটে লাগিয়ে কয়েক সেকেন্ড আঙুল দিয়ে ঠোঁটে ম্যাসাজ করুন এবং সারারাত রেখে দিন। দুই দিনের মধ্যে আপনার ফাটা ঠোঁট নরম ও গোলাপি হতে শুরু করবে।


ত্বক উজ্জ্বল করতে ঘি-এর সাহায্যও নিতে পারেন। এর জন্য দুই চামচ ঘি ও দুই চামচ বেসন নিন। তারপর দুটো জিনিসই ভালো করে মিশিয়ে তাতে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এই ফেসপ্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপরজল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কিছু দিনের মধ্যেই মুখ উজ্জ্বল হতে শুরু করবে।

ত্বকের পাশাপাশি চুলে ঘি লাগালেও কাজ হয়। এতে চুলের জেল্লা বাড়ে ও স্ক্য়াল্পের শুষ্কতার সমস্যাও কমে। এর জন্য অ্যালোভেরার সঙ্গে ঘি যোগ করে ব্যলহার করতে পারেন। দারুণ কাজ হবে।