
অফিসে অতিরিক্ত কাজের চাপ থেকে সামান্য স্বস্তি পেতে বা মানসিক চাপ কমাতে অনেকেই হাতে তুলে নেন সিগারেট। যদিও এটা মানসিক চাপ কমায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তবে বিড়ি হোক বা সিগারেট, ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ঠিক নয়

ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে যেমন বিভিন্ন খাবার ডায়েটে রাখা জরুরি, তেমনই অ্যালকোহল, ধূমপান এবং তামাকজাত দ্রব্য থেকে দূরে থাকতে হবে। এগুলি ফুসফুস, মুখ, গলা ও লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়

পুরুষ হোক বা মহিলা, সিগারেটে থাকা নিকোটিন স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে। তবে মহিলাদের নানা শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। বিশেষত, বিভিন্ন অঙ্গে ক্যানসারের ঝুঁকি এবং গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় অতিরিক্ত ধূমপান

মহিলারা অতিরিক্ত ধূমপান করলে গর্ভধারণ ক্ষমতা হ্রাস পায়। বিশেষত, যাঁরা দিনে ১০টি বা তার বেশি সিগারেট খান, তাঁদের বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ে। ফলে সন্তান ধারণ করতে সমস্যা হয়। এমনকি IVF প্রক্রিয়ায় গর্ভধারণেও সাফল্যের হারকে প্রভাবিত করে

মহিলারা গর্ভাবস্থায় ধূমপান করলে ভ্রূণের ফুসফুস ঠিকমতো বিকশিত হয় না। ফলে সুস্থ সন্তান জন্মানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। এমনকি গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়

অতিরিক্ত ধূমপান মহিলাদের প্রি-মেন্সট্রুয়াল সিনড্রোমের উপরেও প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ধূমপান করলে পিরিয়ডের সময় ক্রাম্পের সমস্যা বেড়ে যায়। এমনকি পিরিয়ডস ঠিকমতো হয় না

কাশির সময় রক্তপাত, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত পড়া, স্তনে ফোলাভাব, গলায় ব্যথা ও খাবার গিলতে অসুবিধা, মেনোপজের পর রক্ত পড়াও ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ। এগুলির কোনও একটি লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং পরীক্ষা করান

অতিরিক্ত ধূমপান করার প্রভাব স্তনের দুধের উপরেও পড়ে। সিগারেটে থাকা নিকোটিন রক্তের সঙ্গে স্তনের দুধেও মিশে যায়। তাই সন্তান জন্ম দেওয়ার পর শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় ধূমপান করা থেকে বিরত থাকা উচিত। আর ধূমপান করলে অন্তত ৯০ মিনিট পর শিশুকে স্তনের দুধ খাওয়ানো উচিত