
চোখের উপর শসার টুকরো—এই কাজটা কমবেশি সকলেই করে থাকেন। বিশেষত, মেকআপ শুরুর আগে। কিংবা ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে। চোখের উপর শসা দিয়ে শুয়ে থাকলে আরাম মেলে। এ কথা আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না।

ঠিক কী কারণে চোখের উপর শসা দেওয়া হয়, তা কি জানেন? বেশিরভাগ মানুষের ধারণা ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে শসা। কিন্তু শসার উপকারিতা এখানেই শেষ? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ত্বকের যত্নে দুর্দান্ত কাজ করে শসা। শসার মধ্যে কুলিং এফেক্ট রয়েছে, যা ত্বকে শীতলতা ও সতেজ ভাব এনে দেয়। শসার গুণে ত্বকের একাধিক সমস্যা কমে যায়। বিশেষত, চোখের চারপাশের চামড়ার হাজারো সমস্যা দূর করতে পারে শসা।

চোখের চারপাশের টিস্যুকে হাইড্রেটেড করতে সাহায্য করে শসা। লিগনান থাকায় শসায় ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তাই চোখের উপর শসা রাখলে আরাম মেলে।

শসার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে। এই উপাদান ডার্ক সার্কেলের সমস্যা কমাতে সহায়ক। এছাড়াও শসার মধ্যে এমন এক প্রকারের উৎসেচক রয়েছে, যা মেলানিন উৎপাদন কমায়। এর জেরে ডার্ক সার্কেল এড়ানো যায়।

চোখের চারপাশের ত্বক ভাল থাকে শসার রসের গুণে। চোখের ভিতর প্রদাহ হলেও শসার রস ব্যবহার করতে পারেন। দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ, মোবাইল ঘাঁটলেও শসা রাখুন চোখের উপরে। এতে চোখের ক্লান্তি হয়ে যাবে।

চোখের উপর শসার টুকরো রাখলে এটি দ্রুত রক্ত সঞ্চালন সচল করে দিতে পারে। এতে চোখের তলার ফোলাভাব কমিয়ে দেয়। এই টোটকায় আপনার চোখের লালচে ভাব, অস্বস্তিও কমে যাবে।

সপ্তাহে একদিন কিংবা মাসে দু'বার চোখের উপর শসার টুকরো রাখতে চলবে না। প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট চোখের উপর শসার কুচি রাখুন। কিংবা শসার রস নিয়ে চোখের চারপাশে বুলিয়ে নিন। তবেই উপকার মিলবে।