বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রসুনের ব্যবহার রয়েছে। রান্নায় স্বাদ যোগ করা থেকে শুরু করে ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয় রসুনকে। বিভিন্ন ধরনের পদ রাঁধতে রসুন ব্যবহার করা হয়।
মাছ-মাংস ম্যারিনেশন করা, স্যুপ তৈরি থেকে কোনও গ্রেভি বানাতে রসুনের জুড়ি মেলা ভাল। এমনকী গার্লিক ব্রেড তৈরি করতেও প্রয়োজন পড়ে রসুনের। রসুন হল রান্নার ঘরের সেই উপাদান যার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে প্রতি পদে-পদে।
রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। রসুনের মধ্যে অ্যালিসিনের মতো যৌগ রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। এছাড়া রসুনের মধ্যে বেশ কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী।
মাংস রাঁধতে গিয়ে দেখলেন রসুন শেষ, তখন কী করবেন? এমন অনেক সময়ই হয় যে রসুনের কম পরিমাণে থাকে, কিংবা একদম শেষ হয়ে গিয়েছে। আবার অনেকেই রসুনে অ্যালার্জি থাকতে পারে। এক্ষেত্রে রসুনের বদলে ব্যবহার করতে পারে চেনা পরিচিত কিছু উপাদান।
রসুনের বদলে আপনি রসুন ও পেঁয়াজ পাতা ব্যবহার করতে পারেন। এর মধ্যে আপনি রসুন ও পেঁয়াজের অল্প ফ্লেভার পেয়ে যাবেন। রসুন ও পেঁয়াজ পাতা কুচি কুচি করে মিশিয়ে দিন রান্নায়। এই ভেষজ উপাদান খাবারে রসুনের কাজ করবে।
হিংয়ের নিজস্ব গুণ ও স্বাদ রয়েছে। রান্না ঘরে যখন রসুনের বাড়বাড়ন্ত তখন রান্নায় হিং ব্যবহার করুন। এক কোয়া রসুনের কাজ করে ১/৪ চামচ হিংয়ের গুঁড়ো। তাই পরিমাণ বুঝে রান্নায় রসুনের বদলে হিং ব্যবহার করতে পারেন।
রান্নাঘরের রসুন টান পড়লে বাজারচলতি রসুনের গুঁড়ো পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। তাজা রসুন না থাকলে, এই রসুনের গুঁড়ো দিয়েও আপনি কাজ চালাতে পারেন। ম্যারিনেশনের ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে এই রসুনের গুঁড়ো।
রসুনের পাউডারের মতো খাবার প্যাকেটজাত রসুনের পেস্টও ব্যবহার করতে পারেন। বাজারচলতি রসুনের পেস্ট খাবারে তাজা রসুনের মতোই কাজ করে। ম্যারিনেশন, গ্রেভি তৈরি করতে এই রসুনের পেস্ট দারুণ কার্যকর।