
১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। অমরনাথ যাত্রা মোটেও সহজ নয়। দুর্গম পাহাড় পেরিয়ে পৌঁছাতে হবে অমরনাথ। ঠান্ডা আবহাওয়ার মধ্যে পাহাড়ের পথ বেয়ে ওঠা বেশ কষ্টসাধ্য। তাই অমরনাথ যাত্রার ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু টিপস মাথায় রাখা দরকার।

১ জুলাই থেকে শুরু হবে অমরনাথ যাত্রার রেজিস্ট্রেশন। চলবে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত। দেশে জুড়ে ৫৪২টি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে আপনি অমরনাথ যাত্রার জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশনের জন্য আধার কার্ড প্রয়োজন।

শ্রী অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী, ১৩ বছরের কম বাচ্চা এবং ৭৫ বছরের বেশি মানুষ অমরনাথ যাত্রার করতে পারবেন না। পাশাপাশি অমরনাথ ট্রেক করার জন্য আপনাকে শারীরিকভাবে ফিট হতে হবে।

দুটো পথে আপনি অমরনাথ যেতে পারবেন। এক অনন্তনাগ জেলার পহেলগাঁও হয়ে পৌঁছানো যায় অমরনাথ। এটাই অমরনাথ যাওয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট। এছাড়া গান্ডেরবাল জেলার বালতট হয়েও যেতে পারেন অমরনাথ।

তীর্থযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এ বছর শ্রী অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ড নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। খাওয়া-দাওয়া নিয়ে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অমরনাথ যাওয়ার পথে কী-কী খাবার খেতে পারবেন, আর কী-কী খাবার নিয়ে যাওয়া যাবেন না, রইল সেই তালিকা।

অমরনাথ যাত্রায় নিষিদ্ধ জাঙ্ক ফুড। নরম পানীয়, জিলিপি, হালুয়ার মতো মিষ্টি, পুরী এবং ছোলা ভাটুরার মতো তৈলাক্ত খাবার চলবে না। এমনকী ফ্রায়েড রাইস, পিৎজ়া, বার্গার, পরোটা, দোসা, মাখন-পাউরুটি, আচার, চাটনি, ভাজা পাঁপড়, চাউমিনও পাবেন না।

অমরনাথ যাত্রায় পাবেন ভাত, নানা রকমের ডাল, সব্জি, সয়াবিন, গ্রিন স্যালাড, ফল, জিরা রাইস, খিচুড়ি। এছাড়া রয়েছে হার্বাল চা, কফি, লো ফ্যাট মিল্ক, ফলের রস, লেবুর স্কোয়াশ, ভেজিটেবল স্যুপ।

কোনও রকম নেশাদ্রব্য নিয়ে অমরনাথ যাত্রা করা চলবে না। মদ, তামাক, গুটখা, পান মশলা, ধূমপানের মতো সব ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য নিষিদ্ধ অমরনাথ যাত্রায়। তবে, পাহাড়ি পথে হাঁটার সময় সঙ্গে রাখতে পারেন ড্রাই ফ্রুটস।