
গ্রীষ্মের শুরু থেকেই যেন তপ্ত তাওয়া বাংলা। কলকাতাতেও দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামছে না। স্বাভাবিকভাবেই গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে ঠান্ডা জলই ভরসা। কিন্তু, রেফ্রিজারেটরের ঠান্ডা জলের মধ্যে রয়েছে বিপদ

বালতিতে বা বোতলে জল রাখলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেটা গরম হয়ে যায়। ফলে বর্তমানে শহুরেদের কাছে প্রচণ্ড গরমে স্বস্তি পেতে রেফ্রিজারেটরের ঠান্ডা জলই ভরসা। কিন্তু, রেফ্রিজারেটর ছাড়াই প্রাকৃতিক উপায়ে বাড়িতে জল ঠান্ডা রাখতে পারেন

আগেকার দিনে মা-ঠাকুমারা জল ঠান্ডা রাখার জন্য মাটির মটকা বা কুঁজো ব্যবহার করতেন। ইদানিংকালে অনেকেই গরমে স্বস্তি পেতে সেই পুরানো পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। কুঁজোর জল সাধারণভাবে ঠান্ডা হয়, ফলে কোনরকম শারীরিক সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি নেই

মটকা বা কুঁজোর ঠান্ডা জলে কোনও সাইড এফেক্ট নেই। তবে কুঁজো ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে নানা সমস্যা হতে পারে। তাই কুঁজো ব্যবহার করলে সেটা পরিষ্কার করার পদ্ধতি জানা জরুরি

মটকা বা কুঁজো দোকান থেকে কিনে এনে ভাল করে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে নিন। তবে সাবান বা সাবান গুঁড়ো দেবেন না। মটকা মাটির হওয়ায় সাবান গুঁড়ো মিশে যেতে পারে। ফলে সেটিতে জল রাখলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে

কুঁজো পরিষ্কার করার সময় জলের সঙ্গে সামান্য নুন মিশিয়ে নিতে পারেন। তার সঙ্গে স্ক্রাব দিয়ে ভাল করে কুঁজো ঘষে নিতে পারেন। তাহলে কুঁজোয় মিশে থাকা ময়লা বেরিয়ে যাবে


কুঁজো সরাসরি মেঝেতে বসাবেন না। কাঠের কোনও পাটাতনের উপর রাখলে পাত্রটি অনেকদিন ভাল থাকবে। ঘরের কোনও ঠান্ডা জায়গায় কুঁজোটি রাখুন এবং সেটির গায়ে ভিজে কাপড় জড়িয়ে রাখুন। তাহলে এই মাটির মটকার জল রেফ্রিজারেটরের জলকেও হার মানাবে