
বাজারে কমলালেবুর ছড়াছড়ি। আর কয়েক সপ্তাহই পাওয়া যাবে এই ফল। তাই শীতের রোদে পিঠ দিয়ে দুপুরবেলা কমলালেবু খাচ্ছেন। এতে আদৌতে কোনও উপকার হচ্ছে? দুপুরের ভাত খাওয়া সেরে কমলালেবু বা অন্যান্য লেবুজাতীয় ফল খাওয়া কি ঠিক? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

পাতিলেবু থেকে শুরু করে কমলালেবু, বাতাবিলেবু সবই একই প্রজাতির ফল। লেবুজাতীয় ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি পুষ্টি ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে, আয়রন শোষণে এবং কোলাজেন গঠনে সাহায্য করে। কিন্তু ভাত খাওয়ার পর এই ধরনের ফল খাওয়া উচিত নয়।

টক জাতীয় ফলের উপকারিতা অনেক। সাইট্রাস ফল খেলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। ত্বকের সমস্যা কমে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু দুপুরের খাওয়া শেষ করে লেবুজাতীয় ফল খেলে এসব কোনও উপকারিতাই পাওয়া যায় না।

লেবুজাতীয় ফলের মধ্যে অ্যাসিডিক উপাদান রয়েছে। তাই লাঞ্চের পর এই ধরনের ফল খেলে খাবার হজমে সমস্যা হবে। কমলালেবুতে থাকা অ্যাসিড বদহজম, বুক জ্বালা ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা ডেকে আনতে পারে।

দুপুরে আমরা যে খাবার খাই, তাতে অনেক পুষ্টি থাকে। সেই পুষ্টি শোষণে বাধা তৈরি হতে পারে, যদি আপনি লাঞ্চের পরেই লেবু খেয়ে ফেলেন। লেবুর মধ্যেও একাধিক পুষ্টি রয়েছে। ভাত খাওয়া পরই এই ধরনের ফল খেলে কোনও পুষ্টিই পাবেন না।

লেবুজাতীয় ফলের মধ্যে প্রাকৃতিক শর্করা রয়েছে। তাই এই ধরনের ফল লাঞ্চের পর খেলেই আপনার সুগার লেভেল হঠাৎ বেড়ে বা কমে যেতে পারে। এতে শারীরিক অস্বস্তি বাড়বে, ক্লান্তি লাগবে। তাই দুপুরের রোদ পোয়াতে পোয়াতে কমলালেবু খেলে আপনারই বিপদ।

লেবুজাতীয় ফলের উপকারিতা হাজারো। কিন্তু এগুলো সঠিক সময়ে না খেলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। যেমন, দুপুরের পর কমলালেবু খেলে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে।

ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চের মধ্যিখানে যে সময়টুকু পান, তখন স্ন্যাকস হিসেবে কমলালেবু খেতে পারেন। যে কোনও লেবু খাওয়ার ক্ষেত্রেই আপনি এই নিয়ম মানতে পারেন। এতে শরীরে কোনও ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে না। বরং, দেহে সমস্ত উপকারিতা পাওয়া যায়।