
একাদশীর দিন খাবারে অনেক রকম বিধিনিষেধ থাকে। এদিন সব কিছু খাওয়া চলে না। আর সেই খাবারের মধ্যে কী কী রাখা যাবে তা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক। মঙ্গলবার অনেকেই নিরামিষ খান। ফলে বাইরে থেকে কিছু কিনে খাওয়ার উপায় নেই

এক্ষেত্রে বাড়িতেই বানিয়ে নিন মুখরোচক এই রেসিপি। যত বেশি মুখরোচক রেসিপি ততি কিন্তু অস্বাস্থ্যকর। যদিও এই রেসিপি একেবারেই তেমন নয়। সজে বানিয়ে নিতে পারবেন, আর স্বাস্থ্যকরও

বড় সাবুদানা এক কাপ নিয়ে তা জলে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। জল বার বার ফেলে ধুয়ে নিতে হবে। এবার তা সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে দেখবেন সাবু ফুলে উঠেছে এবার তা ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন

ব্লেন্ড করে নেওয়া সাবুর মধ্যে ২৫০ গ্রাম ছানা মিশিয়ে ভাল করে ঠেসে নিন। এর মধ্যে সেদ্ধ করা আলু গ্রেট করে মিশিয়ে দিতে হবে। এবার এতে চিনে বাদাম গুঁড়ো হাফ কাপ, আদা বাদা, জিরে গুঁড়ো, নুন, ধনেপাতা কুচি দিয়ে মেখে নিন

জিরে ভেজে গুঁড়ো করে এখানে ব্যবহার করবেন। যেমন ঝাল খেতে চান সেই মতো কাঁচালঙ্কা কুচি করে মিশিয়ে দিতে হবে। এবার এর মধ্যে হাফ চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে দিন, এই রেসিপি যেমন মুখরোচক তেমনই স্বাস্থ্যকর

এই মিশ্রণ থেকে লম্বা ফিশ ফিঙ্গারের আকারে গড়ে নিতে হবে। ফিঙ্গার রোল সব একসঙ্গে গড়ে ফ্রাইং প্যানে সাদা তেল দিয়ে তা ভেজে নিতে হবে। মাঝারি আঁচে খয়েরি করে ভেজে নিলেই তৈরি রোল

নিরামিষের দিনে এই রোল খেতে খুবই ভাল লাগে। গরম গরম সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন। সঙ্গে একটু চা বা কফি থাকলে তো কথাই নেই। বাড়িতে অতিথি আসলেও বানিয়ে দিতে পারেন

এছাড়াও এমন রোল বানিয়ে দিতে পারেন বাচ্চাদের টিফিনে। সেই সঙ্গে পুজোর ভোগেও নিবেদন করতে পারেন সম্পূর্ণ নিরামিষ এই রোল। সামনেই অনেক পুজো রয়েছে তাই এমন রোল রাখুন মেনুতে