
অনিদ্রা, মানসিক চাপ, দূষণ, ত্বকের অযত্ন ডার্ক সার্কেলের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। তাই নিয়মিত চোখের চারপাশে আই ক্রিম লাগাতে হয়। এতে চোখের চারপাশে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল থাকে।

বাজারে নামীদামি ব্র্যান্ডের আই ক্রিম পাওয়া যায়। সেগুলো কোনওটা চোখের তলায় দুর্দান্ত কাজ করে, আবার কোনওটা মনের মতো ফল দেয় না। কিন্তু চোখের তলায় আপনি যে কোনও ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন না।

চোখের চারপাশের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়। সঠিক আই ক্রিম ব্যবহার না করলে ত্বকের সমস্যা বাড়তে পারে। ডার্ক সার্কেল দূর করতে আই ক্রিম তো বেছে নেবেন, কিন্তু তাতে কোন-কোন উপাদান থাকা চলবে না, জেনে নিন।

ত্বককে বার্ধক্যের হাত থেকে রক্ষা করে রেটিনয়েড। এই উপাদান বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা দূর করে। কিন্তু চোখের চারপাশে রেটিনয়েড সমৃদ্ধ ক্রিম লাগালে লালচে ভাব, শুষ্কতার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ব্রণর হাত থেকে বাঁচতে স্যালিসিলিক অ্যাসিড ব্যবহার করুন। স্যালিসিলিক অ্যাসিড ত্বককে এক্সফোলিয়েট করে। কিন্তু এটি চোখের চারপাশে ব্যবহার করলে র্যাশের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ত্বকের রোমের রং পরিবর্তন করতে এবং ট্যান ঢাকতে ব্লিচ করেন? ব্লিচের মধ্যে হাইড্রোজেন পারক্সাইড থাকে। এই উপাদান চোখের চারপাশের চামড়ার জন্য ক্ষতিকারক। তাই ভুলেও মুখে ব্লিচ করবেন না।

আই ক্রিম বাছাইয়ের সময় দেখে নিন তাতে কোনও সুগন্ধী যুক্ত উপাদান রয়েছে কি না। ক্রিমের গন্ধ ভাল হলে, জানবেন সেটা আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। সুগন্ধী যুক্ত আই ক্রিম ব্যবহারে চোখের চারপাশের ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব বাড়তে পারে।

আজকাল রূপচর্চা দুনিয়ায় ব্যাপক হারে এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু পেপারমিন্ট, লেমন, ইউক্যালিপটাসের মতো এসেনশিয়াল অয়েল চোখের তলায় লাগালে ত্বক জ্বলতে পারে।