
শীত মানেই চুলের হাজারো সমস্যা। শুষ্ক-রুক্ষ চুল, চুল পড়া, খুশকি—শীত এলেই বাড়ে এসব সমস্যা। কিন্তু শহরে শীত পড়তে এখনও কয়েক সপ্তাহ বাকি। তার মধ্যেই চুলের দেখভাল করতে হবে।

শীতে চুলের আর্দ্রতা কমে যায়। এর জন্য চুল শুষ্ক ও রুক্ষ দেখায়। পাশাপাশি স্ক্যাল্পের দেখা দেয় সংক্রমণ। খুশকির পাশাপাশি স্ক্যাল্পে চিটচিটে ভাব ও চুলকানি দেখা দেয়। এই অবস্থায় চুলের বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়।

শীত পড়ার আগেই যদি চুলের যত্ন নেন, তাহলে খুশকি, উড়ো চুলের সমস্যা আপনাকে বেশি ভাবাবে না। শীতকালে চুলের সমস্যা বাড়ে। তাই চুলের সুরক্ষাকবচ আগে থেকেই তৈরি রাখা দরকার।

চুলকে ভিতর থেকে পুষ্টি জোগান। আর এই কাজটা একমাত্র করে স্বাস্থ্যকর ডায়েট। ভিটামিন বি, ডি এবং ই, ফোলেট, প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে চুল পড়া, ফ্রিজিনেস কমবে। আমন্ড, কাজু, চিনেবাদাম, কুমড়োর বীজের মতো খাবার খেতে পারেন।

চুলের হাজারো সমস্যা সমাধান এক নিমেষে করতে পারে তেল। প্রতিবার শ্যাম্পু করার আগে মাথায় তেল মাখুন। নারকেল তেল থেকে শুরু করে আয়ুর্বেদিক ও ভেষজ তেল—যে কোনও তেল মাখতে পারেন চুলে। এটি চুলকে পুষ্টি ও আর্দ্রতা জোগাবে।

শীতকালে বিশেষ প্রয়োজন পড়ে ডিপ কন্ডিশনিংয়ের। কারণ এই উপায়ে আপনি চুলের আর্দ্রভাব বজায় রাখতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি বাজারচলতি যে কোনও হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। হেয়ার মাস্ক লাগিয়ে কমপক্ষে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন।

যদি বাজারচলতি হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে না চান, তাহলে বাড়িতেও বানাতে পারেন। টক দইয়ের সঙ্গে মধু ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এতে ভিটামিন ই অয়েল মিশিয়ে চুলে মেখে নিন। ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে নিন। এটি চুলকে পুষ্টি ও ময়েশ্চার প্রদান করবে।

শীত আসেনি। কিন্তু অনেকেই গরম জলে স্নান করছেন। চুলে ভুলেও গরম জল ঢালবেন না। গরম জল চুলের আর্দ্রতা কেড়ে নেয় এবং ফ্রিজিনেস বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি স্ক্যাল্পের সমস্যা তৈরি করে। গরম জলের সঙ্গে ঠান্ডা জল দিয়ে মাথায় ঢালুন।