
এখন সব জায়গায় প্রায় কর্পোরেট অফিস কালচার। তায় আবার বেশিরভাগ জায়গায় হয় বায়োমেট্রিক বা কার্ড পাঞ্চ করে ঢুকতে-বেরোতে হয়। তাই যখন তখন বেরোন বা ঢোকাও যায় না। এদিক থেকে ওদিক হলেই ডাক পরবে বসের, বা কাটা যাবে মাইনে।

এদিকে অফিসের নিয়ম মেনে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টাই অফিসে কেটে যায়, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। আবার অনেকের কাজের যা চাপ থাকে তাতে অফিসে ঢোকার সময় থাকলেও, বেরোনর আর কোনও ঠিক থাকে না।

বেশিরভাগ জায়গায় আজকাল আবার বসে বসে কাজ। একি জায়গায় বসে ঠায় ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। রোজের এই অভ্যাস কিন্তু শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার কারণ। আবার পেশির নমনীয়তা কমে, বাড়ে হৃদরোগের ঝুঁকিও। তাই নিজেকে ফিট রাখাটাও কিন্তু ভীষণ ভাবে জরুরি। কী ভাবে অফিসের কাজ করেও নজর দেবেন সুস্বাস্থ্যের দিকেও? রইল টিপস।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা এক জায়গায় বসে কাজ করার অভ্যাস ছাড়তে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর উঠে দাঁড়াতে হবে, একটু হেঁটে বা ঘুরে নিয়ে আবার বসুন। প্রয়োজনে ফোনে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন। ঘণ্টাখানেক পর পর মিনিট পাঁচেকের জন্য হলেও একটু হাঁটাহাঁটি করতে হবে।

কাজের চাপে জল খেতে ভুলে গেলে চলবে না কিন্তু। বেশিরভাগ অফিসে এসি থাকে বলে জল তেষ্টাও কম পায়। ডিহাইড্রেশন হলেই মাথাব্যথা, ক্লান্তি, মনোযোগের অভাবের মতো সমস্যা শুরু হয়। তাই পর্যাপ্ত জল পান করুন।

কাজের মাঝে সকলেরই কমবেশি খিদে পায়। আর খিদে মেটাতে রোল, চাউমিন, মোমো, তেলেভাজা খান অনেকেই। তবে এই অভ্যাস ছাড়তে হবে। অফিসে নিজের কাছে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস রাখতে রাখুন।

দীর্ঘ ক্ষণ একটানা কম্পিউটারের পর্দার সামনে বসে কাজ করলে চোখের বারোটা বাজবেই। তাই নিজের চোখের যত্ন নিজেকেই রাখতে হবে। প্রয়োজনে 'ব্লু রে প্রোটেক্টর' চশমা পরুন। প্রতি ২০ মিনিট অন্তর অন্তর ২০ ফিট দূরে অবস্থিত কোনও বস্তুর দিকে ২০ সেকেন্ডের জন্য তাকানোর অভ্যাস করুন। এতে চোখের একটু রিলিফ মিলবে।

অফিসে কাজের চাপ বেশি হলে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। তাই কাজের মাঝেও অবসর সময় বার করে নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করুন। অফিসের কাজ বাড়ি নিয়ে যাবেন না। অফিসের বাইরে বন্ধুবান্ধব আর পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজ সময় করে যোগাসন, ধ্যান, প্রাণায়ামের অভ্যাস করতে পারেন।