
টোলপ্লাজাগুলির বেশিরভাগ জায়গাতেই এখন FASTag বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। ট্রাফিক নিয়ম মেনেই সব গাড়িতে তাই থাকতেই হয় FASTag। ভারতের বেশিরভাগ রাজ্যেই এই নিয়ম বহাল রয়েছে।

তবে এখনও অবধি সেই নিয়মের আওতায় ছিল না মহারাষ্ট্র। মারাঠাভূমে FASTag থাকাটা বাধ্যতামূলক নয় ছিল বিকল্পমূলক। তবে এবার সেই নিয়মে এল বড় পরিবর্তন। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপরেই শুরু হবে নতুন নিয়ম।

১ এপ্রিল থেকে মহারাষ্ট্রে FASTag বা ই-ট্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। মহারাষ্ট্র রাজ্য সড়ক উন্নয়ন কর্পোরেশন (এমএসআরডিসি) দ্বারা পরিচালিত সমস্ত টোল প্লাজার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এই নিয়ম। তাহলে কি গাড়িতে FASTag না থাকলে টোল পার করতে পারবেন না?

জানা যাচ্ছে বিষয়টা এমন নয়। FASTag না থাকলেও টোলে পেমেন্ট করা যাবে। যদি কোনও যাত্রী FASTag ব্যবহার না করেন, তাহলে তিনি নগদ, কার্ড বা UPI এর মাধ্যমে টোল ফি দিতে পারবেন। তবে তাঁকে সেক্ষেত্রে দ্বিগুণ টাকা গুনতে হবে। গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা জানিয়ে দিয়েছে MSRDC।

FASTag সম্পর্কিত বম্বে হাইকোর্টে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে আদালত রায় দিয়েছে যে ১ এপ্রিল থেকে সকল যানবাহন ক্ষেত্রে FASTag ব্যবহার বাধ্যতামূলক হবে। এমএসআরডিসির একজন কর্মকর্তা জানান, টোল কার্যক্রম আরও সুবিধাজনক করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে, যারা FASTag ব্যবহার করেন না তাঁদের অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে, আর যাঁদের FASTag আছে তাঁদের স্বাভাবিক ভাড়া দিতে হবে।

নতুন নিয়মের অধীনে, শুধুমাত্র হালকা যানবাহন, রাজ্য পরিবহন বাস এবং স্কুল বাস টোল চার্জ থেকে অব্যাহতি পাবে। অন্য সব যানবাহন যদি নগদ, কার্ড বা UPI ব্যবহার করে টোল দেয়, তাহলে তাঁদের দ্বিগুণ টাকা দিতে হবে।

এই নিয়মটি মুম্বইয়ের MSRDC-এর আওতাধীন টোলগুলি যেমন দহিসার, মুলুন্ড পশ্চিম, মুলুন্ড পূর্ব, আইরোলি এবং ভাশিতে প্রযোজ্য হবে। এছাড়াও, ১ এপ্রিল থেকে বান্দ্রা-ওয়ারলি সি লিংক, মুম্বাই-পুনে এক্সপ্রেসওয়ে এবং অন্যান্য প্রধান এক্সপ্রেসওয়েতে FASTag পেমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হবে।

প্রসঙ্গত, FASTag হল একটি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID) ভিত্তিক ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ ব্যবস্থা, যা গাড়িতে ইনস্টল করা থাকে। গাড়িটি টোল প্লাজায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিঙ্ক করা অ্যাকাউন্ট থেকে টোল ফি কেটে নেয়, যাতে গাড়ির মালিককে টোলের জন্য বেশিক্ষণ দাঁড়াতে না হয়। আবার খুচরো জনিত সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।