
পুজো আসার আগে সকলেই চান ফিটফাট হতে। কাশফুল, নীল আকাশ আর পেঁজাতুলোর মত মেঘ আমাদের মন ভাল করে দেয়। সকালে ঘুম থেকে উঠলেই দেখা মিলছে শিউলির। যদিও খামখেয়ালী আবহাওয়াতে শরীর খারাপও বাড়ছে

এই রোদ আবার বৃষ্টি- ফলে জমা জলের সমস্যা বাড়ছে। আর জমা জলে মশার লার্ভা বেশি জন্মায়। ফলে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া এসবের প্রকোপ অনেক বেড়েছে। আর এই সময় জ্বর, সর্দি, বদহজমের সমস্যাও অনেক বাড়ে

পুজোর আগে ঘরদোর ঝেড়ে পরিষ্কার করা হয়। পরদা, কুশান কভার, বেডশিট সবই বদলানো হয়। ঘরে নতুন শো-পিস আসে। আবার অনেক বাড়িতে পুজোর ঠিক আগে রং ও করানো হয়। পুজোর জন্য যখন এত কিছু পরা তখন সুন্দর জামা পরতে তো ওজন ঝরিয়ে ফেলতেই হবে

পুজোর আগে জিম, সাঁতার, জুম্বা, অ্যারোবিক্স- শিখতে অনেকেই নতুন করে ভর্তি হয়েছেন। মোদ্দা কথা হল অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে হবে। আর তাই জোর কদমে ডায়েট শরীরচর্চা সবই চলছে। যদিও এই দু-তিনমাসের জন্য জিম করে যে কোনও লাভ নেই সেই কথা বিশেষজ্ঞরা সব সময় বলছেন

সকাল থেকে ডায়েট মোড অন। ডিটক্স ওয়াটার খেয়ে শরীরচর্চা, ঘাম ঝরিয়ে লো-ক্যালোরির লাঞ্চ, ভাত-রুটি পুরোপুরি বাদ, রোজ নিয়ম করে ফল খাওয়ার পর সন্ধ্যেয় অফিস থেকে বেরিয়ে একপেট খিদে নিয়ে প্রথমেই চোখ পড়ে ভাজাভুজির দিকে

চপ, পেঁয়াজি, পকোড়া, মোমো খেতে তো খুবই ভাল। তবে এই ভাজাভুজি খেলেই বিপদ। এক কড়াই তেল দেখে এই সব খাবার এড়িয়ে চললেও মোমো, ফুচকা থেকে অনেকেই লোভ এড়াতে পারেন না। ফুচকার মধ্যে তেল থাকে না আর মোমো তো সেদ্ধ তাই এই সব খাবারের প্রতি নজর থাকে সবচাইতে বেশি

বিপদ লুকিয়ে এই মোমে, ফুচকাতেই। মোমো তৈরি হয় ময়দা থেকে। ময়দা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। ময়দার মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট অনেক বেশি থাকে। আর মোমোতে তেলও থাকে, সব মিলিয়ে রোজ মোমো খেলে বিপদ শিয়রে