
দিনের শুরুটাই হয় চা দিয়ে। আবার কেউ ঈষদুষ্ণ জল খেয়েই বাথরুমে যান। আবার কারও অভ্যাস রয়েছে পাঁচ-ছ’টি জলে ভেজানো আমন্ড খাওয়ার। এগুলো সব একসঙ্গেই কিন্তু খাওয়া যায়।

যাঁরা আমন্ড, চা দুটোই সকালে খান, বুঝতে পারেন না যে কোনটা আগে খাবেন। পুষ্টিবিদদের মতে, চা আর আমন্ড আলাদা-আলাদা না খেয়ে আমন্ডের চা খাওয়া শুরু করুন।

আমন্ডের চা শুনলে অবাক হচ্ছেন? সাধারণ চায়ের তুলনায় অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয় আমন্ডের চা। পুষ্টিতে ভরপুর হয় এই চা। আমন্ডের চা খেলে কী-কী উপকারিতা মেলে, জেনে নিন।

আমন্ডের মধ্যে ভিটামিন এ, ই, বি২, ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান পাওয়া যায়। এগুলো চায়ের মধ্যেও পাওয়া যায়। সুতরাং, আমন্ড খেলে যা উপকারিতা পাবেন, একই উপকার মিলবে আমন্ড চা খেলেও।

আমন্ডের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। আমন্ডের চা খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি এই চায়ে প্রোটিন ও ফাইবার রয়েছে, যা ওজনকেও বশে রাখতে সাহায্য করে।

আমন্ডের মধ্যে ভিটামিন ই রয়েছে। আমন্ডের চা খেলে ত্বকের জেল্লা বাড়ে। এছাড়াও আমন্ডের চায়ে রাইবোফ্ল্যাবিন ও এল-কার্নিটাইনের মতো উপাদান রয়েছে, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

এক মুঠো আমন্ড ১৫ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন। খোসা ছাড়িয়ে বেটে নিন। তারপর এতে জল মিশিয়ে ছেঁকে নিন। তৈরি আমন্ডের দুধ। এরপর অবশ্যই এই আমন্ডের দুধটা জ্বাল দিয়ে নেবেন।

এবার দুধে অল্প চা পাতা, এলাচের গুঁড়ো, মধু ও কেশর মিশিয়ে দিন। চা পাতা ভিজিয়েও চা বানাতে পারেন। চা ফুটে উঠলেই তৈরি আমন্ডের চা। সকালে এই আমন্ডের চায়ে চুমুক দিয়ে দিন শুরু করতে পারেন।