Chapati with Cold milk: ঠান্ডা দুধে ডুবিয়ে খান বাসি রুটি, এই সব রোগ দূর হবে মূল থেকেই
Baasi Roti:রুটি বানানোর ১৫ ঘণ্টার মধ্যে খান। তার বেশি হলে একেবার খাবেন না। ঠান্ডা দুধ পেটের জন্য সব সময় ভাল। রুটির মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম। তাই ঠান্ডা দুধে রুটি ভিজিয়ে অবশ্যই খেতে পারেন...
বাসি খাবার কখনই খাওয়ার কথা বলা হয় না। সাধারণত বেশিরভাগ বাসি খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তবে বাসি খিচুড়ি, মাংস, লুচি আর পিঠের স্বাদের কোনও তুলনা নেই। বাসি খাবার খেলে গ্যাস-অম্বল- অ্যাসিডিটির সমস্যা হবেই।
অধিকাংশই বাসি খাবার ডাস্টবিনে ফেলে দেন। আবার অনেকে আছেন যাঁরা বাসি রুটি, ভাত, মুড়ি এসব পশুপাখিদের খাওয়ান। তবে জানেন কি রোজ সকালে যদি বাসি রুটি ঠান্ডা দুধে ডুবিয়ে খান তাহলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, রক্তচাপ, ডায়াবেটিসের সমস্যা হয় না।
রুটির মধ্যে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স একেবারেই কম। এছাড়াও থাকে ভিটামিন বি, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আর পটাশিয়াম। অনেকের গ্লুটেনে অ্যালার্জি থাকে। আর তাই জোয়ার, বাজরা, রাগি এসবের তৈরি রুটি খেতে পারেন। গমের আটার তৈরি রুটি ১২-১৫ ঘণ্টার মধ্যে খেলে তার কোনও খারাপ প্রভাব পড়ে না।
সকালে বাসি রুটি ঠান্ডা দুধের সঙ্গে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। বাসি রুটি ঠান্ডা দুধে ডুবিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। এরপর তা ব্রেকফাস্টে খান। তবে দুধে চিনি মেশাবেন না। তাহলেই কিন্তু অ্যাসিডিটির সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই সাহায্য করে এই ব্রেকফাস্ট।
ঘুমনোর আগে বাসি রুটি ঠান্ডা দুধে ভিজিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেট ফাঁপার মত অনেক রকম সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাসি রুটি সেরা। বাসি রুটি ঠান্ডা দুধে ভিজিয়ে রাখুন ১০-১৫ মিনিট। দিনের যে কোনও সময় খেয়ে নিন। তবে রাতে এই বাসি রুটি না খাওয়াই ভাল। এসব দুপুর ২ টোর মধ্যে খেয়ে নিন। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কাজে আসে এই দুধ আর বাসি রুটি।
ঠান্ডা দুধ অন্ত্রের জন্য সব সময় ভাল। এতে অন্ত্র আরাম পায় সেই সঙ্গে এই রুচির মধ্যে পুষ্টিও থাকে অনেকটা পরিমাণে। তবে রুটি ১৫ ঘন্টার বেশি বানিয়ে ফেলে রাখবেন না। এতে রুটি শক্ত হয়ে যায় আর এর মধ্যে কোনও রকম পুষ্টিগুণ থাকে না। দুধ ছাড়াও বাসি রুটি ঘি দিয়ে ভেজে খেতে পারেন। শরীরের জন্যও ভাল এই রুটি।
দুধের সঙ্গে বাসি রুটির অনেক রকম স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। শরীরের উপর এই দুধ-রুটি খুব ভাল প্রভাব ফেলে। শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলে ব্রেকফাস্টে ঠান্ডা দুধ আর রুটি খেতেই পারেন।