আশ্বিন মাসে পুকুর-খাল-বিল জুড়ে থাকে পদ্ম, শাপলা। সাদা, গোলাপি নানা রঙে পাওয়া যায় এই ফুল। আর এই ফুল দেখতেও খুব সুন্দর হয়। পুজোয় যে ১০৮ পদ্ম ব্যবহার করা হয় অনেক সময় পদ্মের অভাবে শাপলাও দেওয়া হয়
তবে জানেন কি এই শাপলা খাওয়াও হয় আর তা স্বাদেও ভীষণ ভাল। শাপলা খেতে গেলেই মনে পড়ে ছোটবেলায় পড়া সেই চ্যাং-ব্যাং এর গল্পের কথা। যেখানে এই শাপলা ডাঁটা রান্নার প্রসঙ্গ রয়েছে
গ্রাম-গঞ্জে এই শাপলা ডাঁটা খুবই জনপ্রিয়। এখন প্রচুর বাড়িতে তা রান্না করা হয়। যদিও অনেকেই এই শাপলা রান্না করতে জানেন না। আর তাই রইল শাপলার দারুণ একটি রেসিপি। এভাবে রান্না করলে শাপলা খেতে লাগবে ভাল, গরম এক থালা ভাত নিমেষের মধ্যে উড়ে যাবে।
শাপলাতে থাকা ফ্লেভনল গস্নাইকোসাইড মাথায় রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে মাথা ঠান্ডা রাখে। শাপলা ফুল ইনসুলিনের স্তর স্থিতিশীল রেখে রক্তে শর্করা পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। শাপলা শরীরকে শীতল রাখে, হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায় ও তেষ্টা দূর করে। প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া, আমাশয় ও পেট ফাঁপায় শাপলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
আয়ুর্বেদিক ওষুধ বানাতে শাপলার ব্যবহার রয়েছে। এই ওষুধ অপরিপাকজনিত রোগের পথ্য হিসেবে কাজ করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় পাওয়া গেছে, শাপলায় ডায়াবেটিস রোগের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে।
শাপলার মধ্যে অনেকটা ফাইবার থাকে, যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রথমেই শাপলার ফুল কেটে বাদ দিন। এবার শাপলার আঁশ ছাড়িয়ে নিতে হবে। ডাঁটি ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কাটুন। এবার এর মধ্যে হাফ চামচ নুন মাখিয়ে নিন
মিক্সিতে সরষে, পোস্ত, নুন, কাঁচালঙ্কা একটু জল দিয়ে বেটে নিন। এবার শাপলা আবারও জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। কড়াইতে ২ চামচ সরষের তেল গরম করে একটু কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিন। এবার তরকারির মত কাটা আলু দিন
একটু নুন-হলুদ দিয়ে আলু ভাজতে থাকুন। জল ঝরানো শাপলা এবার কড়াইতে দিয়ে ভাজুন। একটু চিনি দিয়ে ঢাকা দিয়ে ভাজুন। বেটে রাখা সরষে আর বাটি ধোওয়া জল মিশিয়ে দিন এতে। মাখা মাখা হয়ে এলে তা নামিয়ে নিতে হবে