Dal-Diabetes: ভাত-ডাল-তরকারি খেয়েই কমবে রক্তে শর্করার মাত্রা, কিন্তু মুগ বা মুসুর?
Healthy Diet Tips: ডায়াবেটিসে রোগীদের জন্য উপযোগী গোটা শস্য, শাকসবজি, ফল ইত্যাদি। ডাল-ভাত-তরকারি খেয়েও সুগারকে বশে রাখা যায়। ডাল হিসেবে আপনি মুগ, রাজমা সবই খেতে পারেন। তবে, বেশি জোর কীসের উপর জানেন? রইল টিপস।
বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলেছে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সমস্যা। কারও ক্ষেত্রে এই রোগ জেনেটিক, আবার অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল কারও জীবনে ঢেকে আনছে এই রোগ। কিন্তু টাইপ-২ ডায়াবেটিস উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
ডায়াবেটিসকে বশে রাখতে গেলে শরীরচর্চা জরুরি। তার সঙ্গে ডায়েট। অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে পুষ্টিকর খাবারের উপর মনোযোগ বাড়াতে হবে। তবে, বশে থাকবে রক্তে শর্করার মাত্রা।
ডায়াবেটিসে রোগীদের জন্য উপযোগী গোটা শস্য, শাকসবজি, ফল ইত্যাদি। ডাল-ভাত-তরকারি খেয়েও সুগারকে বশে রাখা যায়। ডাল হিসেবে আপনি মুগ, রাজমা সবই খেতে পারেন। তবে, বেশি জোর দিন মুসুর ডালের উপর।
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য মুসুর ডাল দারুণ উপযোগী। মুসুর ডালের মধ্যে কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, যা ভেঙে গিয়ে ধীরে-ধীরে রক্তে মেশে। এই ডাল রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়তে দেয় না।
গ্লাইসেমিক সূচকেও মুসুর ডাল নিম্নে রয়েছে। তাই এটি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আদর্শ। কিন্তু ডায়েটে কীভাবে মুসুর ডালকে রাখবেন, জানেন? রইল মুসুর ডাক খাওয়ার ৩টি স্বাস্থ্যকর উপায়।
বাঙালির পেঁয়াজ ফোড়ন দিয়ে মুসুর ডালের কাছে সবাই হার মানবে। মুসুর ডাল সেদ্ধ করে তাতে পেঁয়াজ, কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা ও হলুদ গুঁড়ো ফোড়ন দিন। এভাবে ডাল বানিয়ে আপনি গরম ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন।
মুসুর ডালের খিচুড়ি বানিয়ে নিন। মনে করা হয়, খিচুড়ি ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আদর্শ খাবার। এটি রান্না করাও সুবিধা এবং খেতেও সুস্বাদু হয়। তবে, এতে মুসুর ডাল ব্যবহার করুন। সঙ্গে অল্প ঘি দিন। স্বাদ বেড়ে যাবে।
বিউলির ডালের ধোসা বানানো হয়। ডায়াবেটিসের রোগীরা মুসুর ডালের ধোসা বানিয়ে নিন। ব্রেকফাস্টে মুসুর ডালের ধোসা একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হতে পারে। এতে মুখরোচক খাবার খাওয়াও হবে এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়বে না।