
এক গ্লাস দুধ পুষ্টিতে ভরপুর। আবার এক চামচ ঘি খেলেও আপনি রোগের হাত থেকে দূরে থাকতে পারেন। আর যখন ঘি ও দুধ একসঙ্গে খাওয়া হয়, তখন স্বাস্থ্যের উপর কী প্রভাব পড়ে, জানেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

দুধের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, বি৬, ই এবং কে, আয়রন, প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস পটাশিয়াম ইত্যাদি। অন্যদিকে, ঘিয়ে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে। ঘি'কে স্বাস্থ্যকর চর্বির উৎস বলা হয়।

দুধ থেকেই ঘি তৈরি হয়। কিন্তু যখনই আপনি দুধের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খান, এই পানীয়ের গুণাগুণ বেড়ে যায়। যদিও দুটো দুগ্ধজাত পণ্য একসঙ্গে খেলে হজমের গণ্ডগোল হয়। কিন্তু দুধ ও ঘি এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম।

দুধের মধ্যে ঘি মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। এই পানীয় অন্ত্রের মধ্যে জমে থাকা সমস্ত দূষিত পদার্থ পরিষ্কার করে দেয়। এতে অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।

অনেকেই মনে করেন, যে ঘি খেলে ওজন বাড়তে পারে। কিন্তু ঘিয়ে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। যখন আপনি দুধের সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খান, এই পানীয় আপনার দেহে পুষ্টির সঞ্চার ঘটায় পাশাপাশি ক্যালোরির পরিমাণ বাড়ায় না। এতে ওজনও বাড়ে না।

দুধ ও ঘি দুটোই ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়ামে পরিপূর্ণ। তাই এই পানীয় আপনার হাড়ের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সাহায্য অরে। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে যদি হাড়ের ক্ষয়, আর্থারাইটিসের ঝুঁকি কমাতে চান, তাহলে এই পানীয়ের উপর ভরসা রাখুন।

দুধ খেলে অনেকের হজমের গন্ডগোল হয়। আবার ঘি খেলেও অনেকের গ্যাস-অম্বল হয়। কিন্তু হজম স্বাস্থ্যকে ভাল রাখতে সাহায্য করে দুধ-ঘিয়ের মিশ্রণ। যাঁরা ঘন ঘন বদহজমের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা দুধে ঘি মিশিয়ে পান করতে পারেন।

ত্বক ও চুলের যত্ন নেয় দুধ-ঘিয়ের মিশ্রণ। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এই পানীয়। পাশাপাশি চুল পড়ার সমস্যাকে দূর করে দুধ ও ঘি। তাছাড়া দুধে ঘি মিশিয়ে পান করলে রাতে ঘুম ভাল হয়। যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।