সকালে তাড়াহুড়ো করে অফিস বেরিয়ে যান? খাবার খাওয়ার সময় থাকে না হাতে। অফিস পৌঁছেই সারতে হয় ব্রেকফাস্ট। বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে ৪-৬টা ভেজানো আমন্ড খেয়ে নিন। এরপর ব্রেকফাস্ট কয়েক মিনিট দেরি হলেও কোনও ক্ষতি নেই।
আমন্ড হল পুষ্টির পাওয়ার হাউস। পুষ্টিবিদরা দিনের শুরুতে ভেজানো আমন্ড খাওয়ার পরামর্শ দেন। আগের দিন রাতে এক মুঠো আমন্ড জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খোসা সমেতই খেয়ে নিন ওই ভেজানো আমন্ড।
আমন্ডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি অক্সিডেটিভ চাপের বিরুদ্ধের লড়াই করে প্রদাহ কমায় এবং বার্ধক্যকে প্রতিরোধ করে। আমন্ডের খোসার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, তাই খোসা ফেলবেন না।
আমন্ডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই পাওয়া যায়। ২৮ গ্রাম আমন্ড খেলে আপনার দৈনন্দিন চাহিদার ৫০% ভিটামিন ই পূরণ হয়ে যাবে। ভিটামিন ই হার্টের কার্যকারিতা সচল রাখতে এবং অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
আপনি কি জানেন, ম্যাগনেশিয়াম আমাদের দেহে ২০০-এর বেশি কাজ করে। রোজ যদি ভেজানো আমন্ড খান তাহলে আপনার শরীর ৪২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম পাবেন। এই পুষ্টি দেহের জন্য অপরিহার্য।
ওজন কমানোর জন্য ডায়েট মেনে স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া শুরু করেছেন? এই ডায়েটের মধ্যে অবশ্যই আমন্ডকে রাখুন। সকালে এক মুঠো ভেজানো আমন্ড খেলে এটি আপনার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভর্তি রাখবে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
তাছাড়া আমন্ডের মধ্যে বেশ ভাল পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। ২৮ গ্রাম আমন্ডের মধ্যে ৩.৫ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায়। এটি যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে, তেমনই রক্তে শর্করার মাত্রা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।
ফাইবার থেকে শুরু করে ভিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই সব পুষ্টি হার্টের খেয়াল রাখে। আমন্ড খেলে আপনার রক্তচাপ বাড়বে না। কোনওভাবেই আপনার হার্টের ক্ষতি হবে না। তাই রোজের ডায়েটে আমন্ড মাস্ট।