
এই ধরুন দিন দুয়েক পর বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেছেন। আর হঠাৎ দেখলেন গালে একখানা ব্রণ বেরিয়েছে। ঘুম থেকে এমন দৃশ্য দেখে যে কারও মুড যায় বিগড়ে।

যে সকল ব্যক্তিদের ব্রণ-প্রবণ ত্বক, তারা প্রায়শই পিম্পলের সমস্যায় ভোগেন। আর যাদের ত্বক সাধারণ, তারাও মাঝেমধ্যে ব্রণর যন্ত্রণায় ভোগেন।

অনেক সময় ব্রণর ফোলাভাব, লালচে দাগ, ব্যথা এবং প্রদাহ কমানোর জন্য অনেকের কালঘাম ছুটে যায়। আবার ব্রণ কমলেও তার দাগ কমতে চায় না। যদি দিনদুয়েক আগে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তা হলে তার আগে ব্রণ কমাবেন কোন উপায়ে?

রাতারাতি ব্রণ সারাতে কোনও নামী দামি ক্রিম ব্যবহার করলে হবে না। ব্যবহার করুন কিছু ঘরোয়া টিপস। ভাল ক্লিনজার দিয়ে প্রথমে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। এরপর অয়েল-ফ্রি ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। আর নিতে হবে ঘরোয়া টোটকার সাহায্য।

রাতারাতি ব্রণর ফোলাভাব কমানোর জন্য লবঙ্গের সাহায্য নিতে পারেন। ঈষদুষ্ণ জলে সঙ্গে লবঙ্গের গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট বানান। সেই মিশ্রণ ব্রণর জায়গায় লাগান। প্রথমে ত্বকে জ্বালা হবে, তারপর ব্রণ কমে যাবে।

ব্রণর সমস্যার সমাধানে হিরো হলুদ। এই ভেষজ উপাদান ব্রণর প্রদাহ এবং দাগ দুইই কমাতে পারে। কাঁচা হলুদ বাটা দুধ বা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখতে হবে বা ব্রণর জায়গায় লাগাতে হবে। এই টোটকায় ত্বকের জেল্লা অনেকটা বেড়ে যাবে। ব্রণর ব্যথাও কমবে।

নিম পাতা বাটা বা নিমের তেল লাগাতে পারেন মুখে ব্রণ হওয়া জায়গায়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এটা লাগালে পরদিন সকালে উঠে দেখবেন ব্রণ ভ্যানিশ। আর মুখ পরিষ্কার দেখাবে।

ব্রণর ফোলাভাব এবং লালচে ভাব দূর করতে চাইলে বরফের সাহায্য নিতে পারেন। সুতির কাপড়ে এক টুকরো বরফ মুড়ে ব্রণর উপর কয়েক সেকেন্ড চেপে ধরতে হবে। টানা কয়েক বার ব্রণর উপর বরফ সেঁক দিতে পারলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। সেইসঙ্গে রাতারাতি ব্রণ সারবে।