
দিনের শেষে এক কাপ চা ভাল করে দিতে পারে আপনার মুড। একটা খারাপ দিনে প্রিয় মানুষের সঙ্গে চা-ডেট মন ভাল করে দেয়। কিন্তু চায়ে যদি ক্যালোরি থাকে আর আপনি ওয়েট লস ডায়েট মেনে চলেন, তাহলে কি চা খাবেন?

এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা দিনে ১০-১২ কাপ চা অনায়াসে খেয়ে ফেলবেন। খুব বেশি না হলেও বেশিরভাগ মানুষ ২-৩ কাপ চা সারাদিন ধরে খান। কিন্তু চায়ের কাপে কত পরিমাণ ক্যালোরি থাকে, তা কি জানেন? আর ওজন কমালে কি চা খাওয়া যায়?

চা পাতার মধ্যে কোনও ক্যালোরি থাকে না। গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি যখন আপনি গরম জলে মিশিয়ে খান, তখন অল্প পরিমাণে ক্যালোরি তৈরি হয়। তাও ২৫০ মিলি চায়ে মাত্র ৩ ক্যালোরি থাকে। বরং, এই ধরনের লিকার চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

চায়ে তখনই ক্যালোরির পরিমাণ বাড়ে, যখন আপনি তাতে দুধ মেশান। দুধ দিয়ে চা খাওয়া অভ্যাস আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে। দুধ মেশালে চায়ের ক্যালোরির পরিমাণ ৫ থেকে ৩০ ক্যালোরির হতে পারে।

আপনি যদি ফুল ক্রিম দুধ দিয়ে চা খান, তাহলে আপনার দেহে ৩০ ক্যালোরি প্রবেশ করবে। আপনি ওজন কমাতে চান, তাহলে দুধ দিয়ে চা খাওয়া চলবে না। বরং, লিকার চা খেলে আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই।

আবার যদি দুধের সঙ্গে আপনি চিনি মিশিয়ে চা খান, আরও ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যাবে। চিনি দিয়ে চা খাওয়া কখনওই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। এতে চায়ে স্বাদ এলেও স্বাস্থ্যের কোনও উপকারিতা পাওয়া যায় না।

ওজন কমাতে চাইলে আপনি গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি খেতে পারেন। এগুলোতে যেমন ক্যালোরির পরিমাণ কম, তেমনই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনলে পরিপূর্ণ হয়। এসব উপাদানগুলো ওজন কমাতে এবং আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

চিনি ছাড়া যেমন চা খাবেন, তেমনই চায়ে মেশাতে পারেন কিছু মশলা। আদা, এলাচ, দারুচিনির মতো মশলা দিয়ে চা বানিয়ে খেলে আপনি আরও উপকার পাবেন। এতে আপনি একাধিক রোগ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। পাশাপাশি মশলা আপনার চায়ের স্বাদ বাড়িয়ে তুলবে।