
রোদে ত্বক ঝলসে গিয়েছে। ফেসওয়াশ ও ময়েশ্চারাইজারের বাইরে আলাদা করে ত্বকের যত্ন নেওয়া হয় না। কিন্তু দিনের শেষে ত্বকেরও বাড়তি যত্নের দরকার পড়ে। তখনই কাজে আসে শিট মাস্ক।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের শিট মাস্ক পাওয়া যায়। কোনওটি শুষ্ক ত্বকের জন্য, আবার কোনও শিট মাস্ক কমায় ব্রণর সমস্যা। তবে, ৯০ শতাংশ শিট মাস্ক ত্বকে সতেজতা আনে, ত্বককে ময়েশ্চারাইজড ও হাইড্রেট রাখে।

ত্বকে অতিরিক্ত আর্দ্রতা প্রদান করলেও সব ধরনের শিট মাস্ক আপনি ব্যবহার করতে পারেন না। শিট মাস্কও অন্যান্য প্রসাধনীর মতোই ত্বকের ধরন বুঝে ব্যবহার করা ভাল। অন্যথায়, ক্ষতি হবে আপনার ত্বকেরই।

নরম্যাল ও শুষ্ক ত্বক হলে হাইড্রেটিং শিট মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। হাইলুরনিক অ্যাসিড বা আমন্ড অয়েল রয়েছে, এমন শিট মাস্ক ব্যভার করতে পারেন। এই ধরনের শিট মাস্ক শুষ্ক ও নরম্যাল ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়।

তৈলাক্ত ও কম্বিনেশন স্কিনের জন্য বেছে নিন গ্লাইকোলিক অ্যাসিড বা স্যালিসিলিক অ্যাসিড যুক্ত শিট মাস্ক। এগুলো ত্বক তেল উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়।

সংবেদনশীল ত্বক হলে বাড়তি সাবধানতা বজায় রাখা দরকার। যে সব শিট মাস্কে ক্যামোমাইল ও অ্যালোভেরা রয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করুন। যে সব শিট মাস্কে 'অ্যান্টি-এজিং', 'অ্যাকনি', 'পিউরিফাইং' উল্লেখ রয়েছে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন।

আপনি যদি এমন কোনও শিট মাস্কের সন্ধানে থাকেন, যা ত্বকের বার্ধক্যকে প্রতিরোধ করবে, তাহলে আলফা বা বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড, রেটিনল, ভিটামিন সি বা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যুক্ত শিট মাস্ক ব্যবহার করুন। এগুলো ত্বকের জন্য অপরিহার্য।

সবচেয়ে ভাল হয়, যদি শিট মাস্ক রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করেন। এতে পরদিন সকালে তরতাজা অনুভব করবেন। শিট মাস্ক ব্যবহারের পর অবশিষ্ট সিরাম মুখের পাশাপাশি গলায়, ঘাড়ে মেখে নিন।