সায়ম কৃষ্ণ দেব
Nov 08, 2024 | 6:21 PM
খারাপ সময় চললে আমরা বলি হয়তো শনির সাড়ে সাতি লেগেছে। শনির দৃষ্টি পড়েছে তার উপরে। একবার শনির সাড়ে সাতি শুরু হলে, সাড়ে সাত বছর সওয়ার থাকেন তিনি।
অর্থাৎ সেই যাবৎকাল সময়ে দুঃখ, দুর্দশার শেষ থাকে না। এমনিতেই কোনও ভাবে শনি দেবের হাত থেকে রেহাই নেই। তবে কিছু নিয়ম আছে যা এই সময় মেনে চললে, উপকার হতে পারে। শনি দেব সন্তুষ্ট হলে, কিছুটা হলেও দুঃখ কমতে পারে। কিন্তু কী করবেন এই সময়ে?
কিছু রত্ন আছে যা ধারণ করলে শনির প্রকোপ থেকে সাময়িক মুক্তি মেলে। যেমন জ্যোতিষশাস্ত্র মতে নীলা বা এমিথিষ্ট রত্ন ধারণ করলে শনির দোষ কাটে। শনি দেবকে তুষ্ট করতে তাঁর প্রণাম মন্ত্রটি যপ করুন। "নীলাঞ্জন চয় প্রখ্যাং রবিসূত মহাগ্রহম। ছায়ায়া গর্ভসম্ভুতঃ বন্দে ভক্ত্যা শনৈশ্চয়ম।"
কিছু ধাতুর মাধ্যমেও শনির প্রতিকার করা সম্ভব হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে সীসা ধারণ করলে শনিদেবের প্রকোপ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। কালো অগুরুর ধূপ জ্বালিয়ে শনি মন্দিরে পরপর আটটি শনিবার পূজা দিলেও শনির দোষ কাটে।
শনিদেবের হাত থেকে বাঁচতে হলে দান ধ্যান করতে হবে। শনির প্রকোপ কাটাতে মাসকলাই, কালো তিল, কুলত্থ কলাই, লোহা, সীসা, কালো কাপড়, কালো ঘোড়া দান করতে হবে। শনির দোষ কাটাতে কাক, কালো জীবজন্তু, মোষ, যোগীপুরুষকে ভোজন করালে উপকার মেলে।
আরও কিছু নিয়ম এই সময় মেনে চললে উপকার মিলতে পারে। যেমন - শনিবার নিরামিষ খান। বৃদ্ধ বা বৃদ্ধা মানুষকে সেবা করুন। কালো তিল দিয়ে ৪৪ দিন টানা স্নান করুন। যে কোনও শনিবার সেই স্নান শুরু করবেন।
হনুমান চাল্লিশা, দুর্গা চাল্লিশা বা শিব চাল্লিশার পাঠ করুন। বাড়িতে কোনও বয়স্ক ব্যক্তি থাকলে, বা বাবা-মা থাকলে তাঁদের প্রণাম করে কাজে বেরোন। সকালে গুড় ও রুটি কালো কুকুরকে খাওয়ালে সাড়ে সাতির অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ভাত রান্না হওয়ার পরেই খাবার আগে যদি কাককে খাওয়ানো হয় তা হলে শুভ ফল হবে বলে মনে করা হয়। প্রতি শনিবার শনি পুজো করার সঙ্গে সঙ্গেই শিবের পুজোও করা ভাল।