
যাঁরা মেকআপ করতে ভালবাসেন না, কিংবা মেকআপ পটু নন, তাঁরাও ঠোঁট রং দিয়ে আঁকতে ভালবাসেন। কখনও পোশাকের সঙ্গে মানানসই করে আবার কখনও ট্রেন্ড গা ভাসিয়ে বেছে নেন লিপস্টিকের শেড।

বর্তমানে ট্রেন্ড চলছে নো মেকআপ লুকের। সেখানে ন্যুড বা প্যাস্টেল শেডের লিপস্টিকই বেছে নেওয়া হচ্ছে। আপনার ড্রেসিং টেবিলেও রয়েছে একটা-দুটো ন্যুড শেড। কিন্তু তা পরলেও মনের মতো ঠোঁট দেখায় না। কেন, জানেন?

আপনার ঠোঁটের রং যদি কালো হয় কিংবা ঠোঁট যদি ফ্যাকাশে হয়, সেখানে হালকা রঙের লিপস্টিক মানায় না। এছাড়া ঠোঁট যদি ফেটে চৌচির হয়ে থাকে, সেখানে ন্যুড লিপস্টিক ঠোঁটের সৌন্দর্য ধরে রাখতে পারে না।

শুষ্ক আবহাওয়ায় ঠোঁটের আর্দ্রতা হারিয়ে যায়। শীতকাল এলেই ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। আর এই সময় ঠোঁটের যত্ন নেওয়া শুরু না করলে ঠোঁট বিবর্ণ হয়ে যায়। ঠোঁটের রং কালো হতে থাকে। এই অবস্থায় কীভাবে ঠোঁটের যত্ন নেবেন?

সঠিক ন্যুড লিপস্টিক বেছে নেওয়ার থেকেও জরুরি ভাল মানের লিপবাম ব্যবহার করা। প্রতিদিন ঠিকমতো লিপবাম ব্যবহার করলে ঠোঁট কখনওই শুকিয়ে যাবে না। ঠোঁটের আর্দ্রতা বজায় থাকবে চিরকাল।

ঠোঁটের ত্বক খুবই পাতলা হওয়ায় শীতকালে তাড়াতাড়ি ঠোঁট শুকিয়ে যায়। এক্ষেত্রে ঠোঁটের মরা কোষ দূর করা ভীষণ জরুরি। এক্ষেত্রে ঠোঁটে নিয়মিত মধু লাগালে উপকার পাবেন। এতে ঠোঁটের রং ও কোমলতা বজায় থাকবে।

রোদে বেরোলে ঠোঁটেও লাগান অল্প সানস্ক্রিন। সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে আপনার ঠোঁট বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি ধূমপানের অভ্যাস ছাড়ুন। এই অভ্যাস আপনার ঠোঁট রং কেড়ে নিতে পারে।

ঠোঁট কোমল ও গোলাপি থাকলে তবেই ন্যুড শেডের লিপস্টিক ব্যবহার করলে ভাল ফল পাবেন। তবে, লিপস্টিক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রসাধনীর মানের দিকে খেয়াল রাখুন। পাশাপাশি লিপস্টিক ব্যবহারের পর লিপগ্লস ব্যবহার করুন। এতেই মনের মতো ঠোঁট পাবেন।