
মাছে-ভাতে বাঙালি। আর মাছ যেভাবেই বাঙালিকে দেওয়া হোক না কেন চেটে পুটে খেয়ে নেবে। গরম ভাতে একটু মাছভাজা, ঘি আর লঙ্কা হলে মন্দ হয় না। অন্যদিকে টমেটো দিয়ে মাছের ঝোল, কালোজিরে-বেগুনের ঝোল খেতেও মন্দ লাগে না

এসব ছাড়াও মালাইকারি, ঝাল, কালিয়া এসবও বানিয়ে খেতে পারেন। বাজারে যত রকমই মাছ থাকুক না কেন রুই, কাতলার কোনও তুলনা নেই। কাতলার পেটি ভাজা হোক বা দই কাতলা, কালিয়া, ঝাল এসব খেতে বেশ লাগে

এবার রইল নতুন এই কাতলার রেসিপি। একবার খেলে আজীবন মুখে সেই স্বাদ লেগে থাকবে। দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন। মাছে নুন-হলুদ ভাল করে মাখিয়ে নিতে হবে। ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন এই ভাবে

একটা পেস্ট বানাতে হবে। আড়াই চামচ হলুদ সরষে দেড় চামচ কালো সরষে ৫ টা কাঁচালঙ্কা, ৫ টা শুকনো লঙ্কা, ১২ কোয়া রসুন, ছোট টুকরো আদা, ১ চামচ গোলমরিচ, ১ চামচ গোটা জিরে, ১ চামচ গোটা ধনে, হাফ চামচ মৌরি জল দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে

এই মাছ বানাতে কোনও রকম পেঁয়াজ লাগবে না। টমেটো আড়াআড়ি করে কেটে নিতে হবে। ২ টো কাটলেই চলবে। মিক্সিতে সামান্য জল দিয়ে টমেটো বেটে নিতে হবে। মাছের ঝোলের জন্য তিনটে আলু কেটে নিন

কড়াইতে সরষের তেল গরম করে একটু নুন আর হলুদ দিয়ে মাছগুলো ভেজে নিতে হবে। মাছ ভেজে তুলে রেখে লাল করে আলু ভেজে নিতে হবে। একই তেলে সামান্য কালোজিরে দিয়ে একটু কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে মশলার পেস্ট টা দিয়ে দিন

একদম আঁচ কমিয়ে মশলা কষিয়ে তেল ছাড়লে টমেটো বাটা দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। টমেটোর কাঁচা গন্ধ না যাওয়া পর্যন্ত কষিয়ে নিন। ঢাকা দিয়ে রান্নাটি হবে। মশলা থেকে তেল ছাড়লে পরিমাণ মত জল দিন

এবার ঝোল ফুটলে মাছ দিয়ে দিন। উপর থেকে ধনেপাতা কুচি, লঙ্কা ছড়িয়ে দিন। বেশ মাখা মাখা হয়ে আসলে মাছ নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই মাছের কালিয়া