
ভর্তা খেতে তো ভাল ললাগেই আর গরম ভাতে এই ভর্তার স্বাদই যেন আলাদা হয়। মূলত পর্ববঙ্গের খুব জনপ্রিয় পদ এই ভর্তা। সেই দেশের বেশির ভাগ রেস্তোরাঁতেই অনেক রকম ভর্তা পাওয়া যায়, আর ভর্তা বানাতেও বিশেষ ঝক্কি পেতে হয় না

এই গত কয়েকদিন ধরে ইনস্টাগ্রামে বেশ কিছু রিলস রয়েছে ট্রেন্ডে। আর সেখান থেকেই আরও বেশি জনপ্রিয় হয়েছে ভর্তা। কত রকমের যে ভর্তা হতে পারে তা ওই রিলস ছাড়া বোঝা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়

আলু ভর্তা, বেগুনের ভর্তা, টমেটো ভর্তা, রসুনের ভর্তা এসব তো সকলেই জানেন। শুকনো ল ঙ্কার ভর্তাও অনেকে খেতে চান। আর তাই দুর্দান্ত স্বাদের পটল পোড়া ভর্তা বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেই

পটল এমন একটি সবজি যা ৫০ শতাংশ খেতে চাইলে ৫০ শতাংশ চান না। আর সকলেই যে পটল খেতে ভালবাসেন এমন নয়। পটলের ভাজা গরম ভাতে খেতে বেশ লাগে। এছাড়াও পটল দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ভর্তাও

রইল রেসিপি । পটলের দুটো মুখ কেটে নিয়ে খোসা হালকা করে ছাড়িয়ে নিতে হবে। এভাবে পল কেটে রাখলে তা খেতে খুবই ভাল। সেই সঙ্গে পোড়ানোতেও কোনও অসুবিধে হয় না

একটা শিকে এই রোস্ট করে নেওয়া পটল গেঁথে নিতে হবে। পটলের গায়ে তার আগে সরষের তেল লাগাতে ভুলবেন না। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কালো করে পটল সেঁকে নিতে হবে। খুব ভাল ভাবে পটল পুড়িয়ে নিন

পোড়া পটলের খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবার পটল ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে। এবার মিক্সিতে কেটে রাখা পটল, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে তা বেটে নিতে হবে। বাটা সময় কোনও রকম জলের ব্যবহার হবে না। আবার কড়াইতে এক চামচ তেল দিয়ে গরম করতে বসান

এই তেলের মধ্যে ২ টো শুকনো লঙ্কা, হাফ চামচ কালোজিরে আর মিহি করে কুচনো রসুন কুচি দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ লাল করে ভাজা হলে ওতে বেটে রাখা পটল, কাঁচালঙ্কা, স্বাদমচতো ননুন-মিষ্টি দিয়ে ভাল করে কষে নিন। নুন, সরষের তেল, শুকনো লঙ্কা, দিয়ে মখে নিলেই তৈরি পটল পোড়া ভর্তা।