
রোজের জীবনযাত্রায় মানুষ ফাস্ট ফুড খাবারের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। আর এর জেরেই শরীরে কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো লাইফস্টাইল ডিজ়িজ বাসা বাঁধছে। এই সব রোগকে এড়াতে গেলে ডায়েটে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খুব জরুরি।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে আপনি শাকসবজি, ফল, বীজ খেতে পারেন। আর যে খাবার খেলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, তা হল ওটস। এক বাটি ওটস খেলে আপনার ফাইবারের চাহিদা পূরণের জন্য খুব বেশি কসরত করতে হবে না।

ওজন কমানো, কোষ্ঠকাঠিন্য, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস—যে কোনও সমস্যায় ওটস খাওয়া যায়। আর উপকার মেলেও অনেক। রোজ সকালে এক বাটি করে ওটস খেলে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হবে না।

ফাইবার সমৃদ্ধ ওটস নানা উপায়ে খাওয়া যায়। ওটসের স্মুদি থেকে শুরু করে পুডিং, খিচুড়ি কিংবা ইডলি বানিয়েও খেতে পারেন। এমনকী ওটসকে গুঁড়ো করে তা দিয়ে রুটিও বানিয়ে নিতে পারেন। তবে, হাতে যদি কম সময় থাকে, তাহলে ট্রাই করতে পারেন ওটসের এই ৪ সহজ রেসিপি।

অফিস বেরোনোর তাড়া থাকলে ওভারনাইট ওটস খেতে পারেন। আগের দিন রাতে দুধে ওটস ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ওই ওটসের সঙ্গে পছন্দমতো ফল, আমন্ড ও মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। চাইলে এটা অফিসেও নিয়ে যেতে পারেন।

ওটসের স্মুদি বানাতেও ৫ মিনিটের কম সময় লাগে। এক কাপ ওটস নিন। তার সঙ্গে দুধ ও কলা, খেজুর, আমন্ড মিশিয়ে ব্লেন্ডারে পোস্ট করে নিন। ব্যস তৈরি ওটসের স্মুদি। যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা ওটসের স্মুদি পান করতে পারেন।

ওটসের পুডিং বানিয়ে খেতে পারেন। রোস্টেড ওটস এবং স্ট্রবেরি নিন। এতে দুধ মিশিয়ে ৫-৬ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন। আগের দিন রাতে তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। পরদিন সকালে জলখাবারে খেতে পারেন এই পুডিং।

এছাড়া দুধের সঙ্গে ফুটিয়ে নিতে পারেন ওটস। তারপর এতে কলা, আপেল, খেজুর, আমন্ড মিশিয়ে খেতে পারেন। স্বাদের জন্য দারুচিনির গুঁড়ো ও মধু মেশাতে পারেন। এই ওটমিল খেলে ওজন কমে দ্রুত।