
গ্রাম বাংলায় এখনও বিভিন্ন পাতা, ফুল খাওয়ার বেশ চল রয়েছে। শহরের সব বাজারে এই সব পাতা আজকাল আর তেমন ভাবে পাওয়া যায় না। তবে এই খারকোল পাতা অনেকের কাছেই খুব প্রিয়। বাংলাদেশে পাতা বাটা খাওয়ার চল রয়েছে। এর মধ্যে খুবই জনপ্রিয় এই খারকোলের পাতা।

বর্ষাকালে এই পাতা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এই রান্না খুবই জনপ্রিয়। দু আঁটি খারকোল পাতা হলেই চলবে। খারকোল পাতা ভাল করে কেটে ধুয়ে নিতে হবে।

এই পাতার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে। থাকে অ্যান্টি এজিং উপাদানও। যা ত্বকের জন্য ভাল। ত্বক সহজে বুড়িয়ে যেতে দেয় না। ত্বক অনেক বেশি টানটান থাকে।

যেহেতু জঙ্গলে হয় তাই এই পাতা খুব ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। নইলে এর মধ্যে ধুলো-বালি অনেক বেশি থাকে। এর থেকে পেট খারাপ হয়ে যেতে পারে।

পাতা ভাল করে ধুয়ে জল ঝরাতে দিন। একটা কড়াইতে কালোজিরে, ২০ কোয়া রসুন, কাঁচা লঙ্কা ৬ টা নিয়ে শুকনোই নেড়ে নিতে হবে অল্প আঁচে। এবার পাতাগুলো কুচিয়ে নিতে হবে।

একটা পাত্রে এই রসুন শুকনো লঙ্কা তুলে রাখুন। অকি কড়াইতে খারকোল পাতা নিয়ে ১ চামচ পরিমাণ নুন দিয়ে কড়াইতে বসিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখলেই জল বেরিয়ে আসবে। হাই ফ্লেমে রেখেই জল শুকিয়ে নিতে হবে। জল ভাল না শুকোলে গলা ধরতে পারে।

কালোজিরে, কাঁচালঙ্কা, রসুন শিলে ভাল করে বেটে নিতে হবে। সব বাটা হলে এবার ওর মধ্যে খারকোল পাতা সেদ্ধ দিয়ে বেটে রাখতে হবে। এই বাটা কিন্তু শিলনোড়াতেই হবে।

এবার কড়াইতে সরষের তেল গরম করে ওর মধ্যে খারকোল পাতা বাটা দিয়ে দিতে হবে। নেড়ে চেড়ে যত শুকনো হবে ততই ভাল। এতে গলা কম দরবে। এই পাতা খুব ভাল করে ভেজে শুতনো করে নিতে হবে। গরম ভাতের সঙ্গে এই পাতাবাটা খুব ভাল লাগে খেতে।