ইলিশ, চিংড়ি আর পাঁঠার মাংসের মতো লুচিও হল বাঙালির একটা ইমোশন। গরম গরম ফুলকো লুচি খেতে লাগে দারুণ। লুচি আর সাদা আলুর তরকারি হল বাঙালির ক্লাসিক ব্রেকফাস্ট
তেমনই কচি পাঁঠার ঝোলে ডুবিয়ে লুচি খেতে যেমন দারুণ লাগে তেমনই লুচি আর বেগুন ভাজাও স্বাদে অনবদ্য। যদিও এই লুচি কিন্তু মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। ময়দা মেখেই তৈরি হয় লুচি আর ময়দা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়
মাঝে মধ্যে চলতেই পারে। বাঙালির যে কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানেই লুচি থাকে। জন্মদিন, বিয়ে, পৈতেবাড়ি যে কোনও অনুষ্ঠানের ব্রেকফাস্ট শুরু হয় এই ক্লাসিক লুচিতে। আজ রইল আুজি-আলুর মশলা লুচি। একবার খেলে দ্বিতীয়বার আর ময়দার লুচি খেতেই চাইবেন না
একটা ফ্রাইং প্যানে হাফ কাপ জল দিয়ে ওর মধ্যে একটু নুন দিয়ে হাফ কাপ সুজি দিন। আঁচ কমিয়ে সুজি খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণে যখন আঠালো ভাব আসবে তখন এই ডো নামিয়ে নিতে হবে। এবার এর মধ্যে এক চামচ ঘি দিয়ে ভাল করে মেখে নিতে হবে
এবার এর মধ্যে সেদ্ধ করে মেখে রাখা আলু মিশিয়ে দিন। দুটো মাঝারি সাইজের আলু নিয়ে তা সেদ্ধ করে রাখতে হবে। এই সুজি-আলুর মিশ্রণে এক চামচ চিলি ফ্লেক্স ছড়িয়ে দিতে হবে। এর মধ্যে মিহি করে কুচনো কাঁচালঙ্কা, ফ্রেশধনেপাতা কুচি, হলুদ, সামান্য জোয়ান দিয়ে ভাল করে তা মেখে নিতে হবে
এবার এতে ১/৪ কাপ ময়দা মিশিয়ে ভাল করে মেখে নিতে হবে। টাইট ডো তৈরি হবে, তাহলে বেলতে সুবিধে হবে আর লুচি ভাল ফুলবে। ময়দা-সুজি যয়ত ভাল করে মিশিয়ে মাখবেন ততই তা খেতে ভাল হবে। তাই মাখা ভাল হওয়া খুবই জরুরি
এই মাখা থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে নিতে হবে। লেচি কেটে নিয়ে ময়দা ছড়িয়ে তা বেলে নিতে হবে। তাহলে এই লেচি চিটে যাবে না। এভাবে সব লুচি একে একে করে বেলে নিতে হবে। কড়াইতে সাদা তেল গরম করে একটা একটা করে লুচি দিয়ে ভেজে নিতে হবে
এই লুচি খেতে খুবই নরম হয় সেই সঙ্গে ফুলকোও হয়। শুধুই গরম গরম খেতে পারেন এই লুচি, আবার মালাই পনির কিংবা দই দিয়ে বানানো আলুর জমের সঙ্গে খেতে ভাল লাগে এই লুচি। এই লুচি খেলে গ্যাস-অম্বলের কোনও রকম সম্ভাবনা থাকে না।