
গরম ভাতে কুমড়ো ফুলের বড়া দিয়ে মাখিয়ে খেতে বেশ লাগে। আর মাছের ঝোল হলে তো কথাই নেই। তবে জানেন কি এই মাছের ঝোল দারুণ ভাবে রান্না করা যায় কুমড়ো ফুলের বড়া দিয়ে। আর মাখা মাখা সেই তরকারি খেতেও লাগে খুব ভাল

শীতকালে বাজারে বেশ কুমড়ো ফুল এসেছে। সঙ্গে টাটকা রুই মাছ কিনে আনুন। একটু বড় দেখে রুই নিতে হবে। মাছ খুব ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে কুমড়ো ফুলের বোঁটা ছাড়িয়ে রাখুন

ফুলের একটা দিক কেটে রাখুন। কুমড়ো ফুল ভাজার জন্য বেসন গুলে নিতে হবে। একটা বাটিতে বেসন নিয়ে নুন, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো,সামান্য আদা বাটা আর একটু জল দিয়ে মেখে নিতে হবে

কড়াইতে সরষের তেল গরম করতে দিন। এবার সেই তেল এক চামচ নিয়ে বেসনের মধ্যে দিয়ে গুলে ফেলুন ভাল করে। এতে বড়া বেশ মুচমুচে হবে। এবার গোটা গোটা কুমড়ো ফুল বেসনের গোলায় ডুবিয়ে তেলে ভেজে নিতে হবে

বোঁটা গুলো খুব সামান্য রাখবেন, তাহলে ফুলের আকারেই ভাজা হবে। মাছের মধ্যে নুন-হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিতে হবে। বেশ লাল লাল করে ভেজে নিতে হবে। মাছ তুলে বাকি তেলে শুকনো লঙ্কা, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ আর সামান্য গোটা জিরে দিন

দুটো মিডিয়াম সাইজের পেঁয়াজকুচি, দুটো টমেটো কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরে বাটা, স্বাদমতো নুন, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনেপাতা কুচি দিয়ে কষতে থাকুন

মশলা কষিয়ে তেল ছাড়তে শুরু করলে একটু জল দিন। গ্রেভি ফুটতে শুরু করলে তার মধ্যে ভেজে রাখা মাছ দিয়ে দিতে হবে। ভেজে রাখা কুমড়ো ফুলের বড়া ধীরে ধীরে মাছের গ্রেভিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বেশ ঘন হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে নামিয়ে নিন

গরম ভাতে এই মাছের তরকারি মেখে খেতে দারুণ লাগে। এর সঙ্গে আর অন্য কোনও তরকারির প্রয়োজন পড়ে না। কুমড়ো ফুল এভাবে ঝোলের সঙ্গে মেখে খেতে লাগে দারুণ। বড় সাইজের টাটকা রুই মাছ নিলে খেতেও খুব ভাল হয়