মুখ কিংবা হাত-পা নিয়ে মানুষ যত বেশি সচেতন, একই নজর দেন না শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর। এমন অনেক মহিলাই রয়েছেন, যাঁরা স্তনে চুলকানি, র্যাশের সমস্যায় ভোগেন। স্তনের নিচের ফুসকুড়ি, র্যাশের সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
সঠিক অন্তর্বাস না পরলে, আঁটোসাঁটো পোশাক বেশি পরলে, ঘাম জমে স্তনের নিচে র্যাশের সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। অনেক সময় ঋতু পরিবর্তনের কারণে এবং অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্তনের নিচে র্যাশ দেখা দেয়।
স্তনের নিচের র্যাশ, চুলকানির সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। এগুলো অ্যালার্জির উপসর্গ হতে পারে। আবার অনেক সময় স্তনে ক্যানসার হলে এই ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। যদি ঘামের জমে স্তনের নিচে র্যাশ বের হয়, তাহলে ঘরোয়া প্রতিকারের সাহায্য নিতে পারেন।
বেকিং সোডার মধ্যে থাকা অ্যালকালাইন ত্বকের পিএইচ স্তরের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ১ চামচ বেকিং সোডা নিন। এতে জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি স্তনের নিচে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রাখুন। তারপর সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
প্রতিদিন ত্বকের উপর নারকেল তেল মালিশ করতে পারেন। নারকেল তেলের মধ্যে ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে। এটি যেমন ইস্ট সংক্রমণের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে, তেমনই চুলকানি, র্যাশ কমায়।
টি ট্রি অয়েলের মধ্যে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে, যা র্যাশের সমস্যা দূর করে। নারকেল তেলের সঙ্গে ২ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে স্তনের চারপাশে ও নিচে মালিশ করুন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই কাজটি সারতে পারেন।
র্যাশের সমস্যা দূর করতে অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার দারুণ কার্যকর। এটি স্তনকে ইস্ট সংক্রমণের হাত থেকেও রক্ষা করে। ১ কাপ জলে ১ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এবার তুলোর বল ওই মিশ্রণে ডুবিয়ে ত্বকের উপর লাগান। শুকনো হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।
যদি মনে হয়, স্তনের নীচের র্যাশগুলো স্বাভাবিক নয়, সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের সাহায্য নিন। এক্ষেত্রে র্যাশের ব্যথা বা চুলকানি কমাতে বরফ ঘষতে পারেন। ৫-১০ মিনিট র্যাশের উপর কোল্ড কমপ্রেস করলে উপকার পাবেন।