চপ শিল্প নিয়ে যতই খোঁটা দেওয়া হোক না কেন এই চপের জুড়ি মেলা ভার। শুধু গ্রাম বাংলায় নয় শহরেও যতই মুখরোচক খাবার বিক্রি হোক না কেন চা, তেলেভাজার চাহিদা থাকে তুঙ্গে
বিকেল হলেই লাইন পড়ে চপের দোকানের সামনে। রাত ১০ টা পর্যন্ত টলতে থাকে বিক্রিবাটা। গরম গরম চপ আর মুড়ি থাকলে জল খাবারে আর কি চাই
এখনও মাত্র ১০ টাকায় পেট ভরাতে এই চপ মুড়ির কোনও জুড়ি নেই। বাংলার বাইরে অন্যত্র পেট ভরানো খাবার খেতে চাইলে অনেকটা বেশিই খরচ হয়ে যায়।এখনও অনেক পরিবারের দিন গুজরান হয় চপ ভেজে
মুড়ি দিয়ে মেখে যেমন খেতে ভাললাগে তেমনই চপ পেঁয়াজ-লঙ্কা কুচি দিয়ে মেখে ভাতের সঙ্গে খেতেও লাগে বেশ। একটা সময় বাড়িতে কোনও অতিথি আসলে চপ, মিষ্টি দেওয়াই ছিল রীতি
এবার চপ বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেই। প্রথমে পাঁচ থেকে ৬ টা আলু খোসা সহ সেদ্ধ করে নিতে হবে। একটা বাটিতে ২৫০ গ্রাম বেসন, একটু কর্নফ্লাওয়ার, নুন, লঙ্কা, হলুদ গুঁড়ো, আদা-রসুন বাটা মিশিয়ে অল্প জল দিয়ে ব্যাটার বানান
বেসনের ব্যাটার খুব ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে। আলু ঠান্ডা করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। শুকনো কড়াইতে পাঁচফোড়ন, একটু জিরে, ৭টা গোলমরিচ, একটা এলাচ, দারচিনি আর শুকনো লঙ্কা দিয়ে নেড়ে নিন, মশলা গুঁড়ো করে নিন
থেঁতো করা আদা রসুন তেলে দিয়ে নেড়েচেড়ে নিতে হবে। এবার খোসা ছাড়িয়ে রাখা আলু ওর মধ্যে মিশিয়ে দিন। আলু নেড়ে চেড়ে স্বাদমতো নুন, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনেপাতা কুচি, ভেজে রাখা মশলা গুঁড়ো, একটু হলুদ দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে
চপের জন্য তৈলি শুকনো শুকনো আলুর পুর। এবার তা নামিয়ে একটা থালায় বেসন ছড়িয়ে দিন। হাতে আলুর পুর নিয়ে গোল করে চ্যাপ্টা করে নিন, এবার তা বেসনের উপর রেখে দিন। ব্যাটারে একটু বেকিং সোডা আর এক চামচ জল দিয়ে আবারও ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার ব্যাটারে ডুবিয়ে ভেজে নিতে হবে আলুর চপ