
এই গরমে যত কম তেল, মশলা দিয়ে রান্না করা খাবার খাবেন, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। যদিও আজকাল শরীরের কথা মাথায় রেখেই তেলের ব্যবহার কমেছে বাঙালির রান্নাঘরে। কিন্তু ডিম বা মাছ ভাজতে গেলে সর্ষের তেল বা মাখন চাই-ই।

ভাজাভুজি খাবার কখনওই স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত নয়। কিন্তু বাঙালির রান্নায় সর্ষের তেল ব্যবহার একটু বেশি। মাছের ঝোল রান্নার আগে মাছ ও সবজি ভেজে নেওয়া। কিংবা আলু-পটল-বেগুন ভাজা, এসব রাঁধতে গেলে তেল চাই।

অনেক সময় কম তেলে ভাজাভুজি করতে গিয়ে দেখা যায়, কড়াইতে ডিম বা সবজি আটকে যাচ্ছে। অনেক সময় মাছ ভেঙে যায়। কম তেলে রান্না করলে এই ঝক্কি পোহাতেই হয়। কিন্তু এই সমস্যার সমাধানও রয়েছে।

কড়াই আঁচে বসানোর আগে ভাল করে ধুয়ে মেজে নিন। আগের রান্নার কোনও তেল যেন কড়াইতে লেগে না থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখুন। এরপর এক চামচ তেলেও রান্না করে নিতে পারেন।

ফ্রাইং প্যান হোক বা অ্যালুমিনিয়ামের কড়াই—যে পাত্রেই ভাজাভুজি করুন, সেটা প্রথমে আঁচে রেখে ভাল করে গরম করে নিন। কড়াই ভাল করে গরম হওয়ার পর তাতে তেল দিন।

ফ্রিজে রাখা কোনও পণ্য ঠান্ডা অবস্থাতেই ভাজতে যাবেন না। প্রথমে সেটাকে ঘরের তাপমাত্রায় আসতে দিন। তারপর সেটা ভাজুন। ফ্রিজের থাকা মাছ-মাংস আগে থেকে বের করে রাখুন।

সবজি অল্প ভাজা হয়ে গেলে সমস্ত মশলা দিন। মশলা কষার সময় অল্প জল দিন। নাহলে মশলা কড়াইতে ভাজতে গিয়ে আটকে যাবে। আর জল দিয়ে মশলা কষলে সেটা দ্রুত রান্ন হয়ে যাবে।

মাছ-মাংস কষতে গিয়ে যদি বার বার কড়াইতে আটকে যায়, এতে সস মিশিয়ে দিন। টমেটো পিউরি, সসের মতো উপাদান ব্যবহার করে অনেকেই গ্রেভি তৈরি করেন। এগুলো খাবারে মেশালে কড়াইতে আর খাবার আটকাবে না।