
ওটসের যা উপকারিতা রয়েছে খুব কম খাবারের মধ্যেই তা থাকে। এদিকে ওচসের নাম শুনলে অনেকেই মুখ ঠিক বাংলার পাঁচের মত করে ফেলেন। দুধ ওটসের নাম শুনলেই তাদের বমি উঠে আসে। তবে দুধ, ফুল দিয়ে ওটস খেতেও কিন্তু বেশ লাগে

পুষ্টি আর ফাইবারে ভরপুর একটি সুপার ফুড হল ওটস। মূলত যবের ভাঙা দানা থেকে তৈরি হয়। ওটস দিয়ে অনেক রকম খাবার বানানো যায়। দুধ বা দই দিয়ে খাওয়া ছাড়াও ওটসের পরিজ, পায়েস, খিচুড়ি, উপমা, চিল্লা অনেক কিছুই করা যায়

ওটসের যে কোনও পদল বানাতে তেলও লাগে অনেক কম। আর ওটস দিয়ে মুখরোচক বেশ কিছু স্ন্যাকসও বানিয়ে নিতে পারেন। ওটসের যে কোনও পদ বানালে তেলও লাগে অনেক কম

প্যানে ছোট ২ চামচ সাদা তেল গরম করে ওতে কাঁচা বাদাম দিয়ে ভেজে নিতে হবে। বাদাম ভেজে তুলে রেখে ওই তেলের মধ্যে হাফ চামচ ছোলার ডাল হাফ চামচ বিউলির ডাল দিয়ে শুকনো লঙ্কা, কারিপাতা, গোটা সরষে গোটা জিরে ফোড়ন দিন। গন্ধ বেরোলে কুচনো পেঁয়াজ দিন

এবার গাজর, বিনস কুচি করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিহি করে কুচিয়ে নেওয়া সবজি ভেজে নিয়ে এককাপ মটরশুঁটি দিতে হবে। সামান্য নুন মিশিয়ে নাড়াচাড়া করে নিতে হবে। এরপর এখানে এক চামচ ওটস মিশিয়ে দিন

৫-৬ চামচ মিশিয়ে ভাজা ভাজা করে নিতে হবে। ওটস কম আঁচে ভাজতে থাকুন। চিঁড়ে ভাজা যেমন লাগে তেমন ভাবেই ওটস ভাজতে বে। ওটস খুব ভাল করে ভাজা হলে বাদাম মেশান

সামান্য লঙ্কার গুঁড়ো, কসৌরি মেথি মিশিয়ে ভাজতে থাকুন, এর সঙ্গে একটু পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দিতে ভুলবেন না। খুব ভাল ঝরঝরে ভাজা হলে তখন গ্যাস অফ করে দিন। গরম গরম খেতে লাগে খুব ভাল

চিঁড়ে ভাজার মত মুচমুচে স্ন্যাকস বানিয়ে নিতে পারেন এই ওটস দিয়ে। চা-কফির সঙ্গে খেতে লাগে খুব ভাল। এরকম বানিয়ে বাড়িতে রেখে দিলে উল্টো পাল্টা খাওয়ার ইচ্ছে হবে না আর