
জন্মদিন হোক বা বাড়ির যে কোনও শুভ অনুষ্ঠান, পাতে পায়েস তো থাকবেই। যতই কেকের যুগ আসুক না কেন জন্মদিনে একবাটি পায়েস না হলে ঠিক জমে না।

নতুন গুড়ের পায়েসের স্বাদই আলাদা। তবে গুড় তো আর সারা বছর পাওয়া যায় না। আর তাই এই বাতাসা দিয়েই বানিয়ে নিন দারুণ সুস্বাদু পায়েস।

পায়েসে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল দুধ। যত বেশি দুধ দিয়ে বানাবেন ততই ভাল খেতে হবে পায়েস। সঙ্গে যদি দেড়শো লাল বাতাসা পড়ে তাহলে তো কথাই নেই।

বেকড মিষ্টি, মিহিদানা,সন্দেশ, রসগোল্লা যতই ডেজার্টে জনপ্রিয় হোক না কেন এই পায়েসের কোনও তুল না নেই। রুটি, লুচি, পরোটার সঙ্গে শেষপাতে পায়েস খেতে খুবই ভাল লাগে।

দুধ প্রথমে ফুটে উঠলে তাতে প্রথমেই অল্প লাল বাতাসা দিন। এরপর চাল দিলে চাল বেশি গলে যায় না। এবার ধুয়ে ঘি মাখিয়ে রাখা দেড়শো চাল ফেলে দিন।

এরপর চাল ভাল করে ফুটে উঠলে এবং সেদ্ধ হলে ভাঙা কাজুবাদাম, দুটো এলাচ আর বাকি বাতাসা ফেলে দিন। কম আঁচে ঘন করতে থাকুন।

পায়েস কিন্তু ক্রমাগত নেড়ে যেতে হবে। নইলে তা তলায় বসে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।

জন্মদিন হোক বা রাখী, জন্মাষ্টমী একবাটি করে পায়েস বানিয়ে নিন লাল বাতাসা দিয়ে। এতে খেতে খুবই ভাল লাগবে। ঠাকুর তো খুশি হবেনই সঙ্গে নিজেদেরও উদর পূর্তি হবে।