
সকালের ব্রেকফাস্ট হোক বা অফিসের টিফিন, অনেকেরই প্রথম পছন্দ জ্যাম-পাউরুটি অথবা জেলি-পাউরুটি। বাচ্চারা আবার জ্যাম বা জেলি দিয়ে বিস্কুট খেতেও ভালবাসে। কিন্তু, জানেন কি, দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস

জ্যাম ও জেলি দেখতে একই রকম। জ্যাম ও জেলি তৈরির উপকরণও এক। এর মধ্যেও রয়েছে সূক্ষ্ম এক ফারাক

গাছ থেকে পড়ে যাওয়া অথবা পিষে যাওয়া ফল ফল পিষে জ্যাম তৈরি হয়। যে কারণে ফলের দু'-একটা টুকরো থাকে। জেলিতে তা থাকে না

পেকটিন ছাড়াও জ্যাম তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে স্বাদ আনতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ঠিক নয়। এছাড়া জ্যাম পাকা ফল দিয়ে বানানো হয়। পাকা ফল সবার জন্য স্বাস্থ্যকর নয়

অন্যদিকে, ফল অথবা সবজির রস থেকে তৈরি হয় জেলি। তাই জেলি তৈরির পর দেখতে অনেকটা স্বচ্ছ লাগে। তবে একেবারে তরল হয় না। যে পাত্রে জেলি তৈরি করবেন সেই পাত্রের আকার নেবে

স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে জ্যাম ও জেলির মধ্যে ফারাক বিশেষ নেই। মূলত, জ্যাম ও জেলিতে কত শতাংশ পেকটিন ব্যবহার করা হয়, তার উপরই স্বাস্থ্যগুণ অনেকাংশে নির্ভর করে

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, সীমিত পরিমাণে পেকটিন সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং অনেক রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। বুদ্ধির বিকাশ ঘটে

জ্যাম চিজ এবং ক্র্যাকারের পরিপূরক হিসাবে ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, জেলি কেবল রুটি- পাউরুটি দিয়ে টিফিনেই ব্যবহার হয় না, ছোটদের প্রিয় জেলি লজেন্সও তৈরি হয়