সায়ম কৃষ্ণ দেব
Dec 24, 2024 | 2:22 PM
ক্রিসমাসের মরসুম। এমন এক উৎসব যা প্রায় গোটা বিশ্ব জুড়েই পালিত হয়। যার রেশ থেকে বাদ যায়নি বাংলাও। রাত জেগে পার্টি করা, পার্ক স্ট্রিটের আলো, সেন্ট পলসের প্রার্থনা এই নিয়েই বাঙালির ক্রিসমাস। মোটমাট বেশ আড়ম্বর আর জাঁকজমকের সঙ্গেই পালিত হয় ক্রিসমাস।
তবে ক্রিসমাস পালনের কিন্তু রয়েছে নানা নিয়ম কানুন। এমনকি এই ক্রিসমাস পালন ঘিরে গোটা বিশ্বেই প্রচলিত রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রীতি নীতি। বছর শেষে একটু আনন্দ উদযাপন, সকলে মিলে ভাল করে কাটানো উদ্দেশ্য।
বিশ্বজুড়ে, বিভিন্ন ঐতিহ্য প্রচলিত রয়েছে এই ক্রিসমাসকে ঘিরে। তারই সঙ্গে প্রস্তুতি চলে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর। জানেন ক্রিসমাসকে ঘিরে কোথায় কী ঐতিহ্য রয়েছে?
জার্মানির ঝুলন্ত ক্যালেন্ডার - ১৯ শতক থেকেই ক্রিসমাসের চার সপ্তাহ অর্থাৎ এক মাস আগে থেকে কাউন্ট ডাউন শুরুর এই প্রক্রিয়া বেশ প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে। পরে গেরহার্ড ল্যাং বিষয়টিকে আরও বেশি করে বাণিজ্যিকীকরণ করে তোলেন। ক্যালেন্ডারে চকোলেট যোগ করা, বড় বড় বহুতল থেকে দৈত্যাকার ক্যালেন্ডার ঝুলিয়ে দেওয়া সেই তালিকায় এখন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
কলম্বিয়ার নোচে দে লাস ভেলিটাস প্রথা - ডিসেম্বরের ৭ তারিখ, কলম্বিয়ায়, যিশুর মা মেরি এবং ফিস্ট অফ দ্য ইম্যাকুলেট কনসেপশনকে সম্মান জানানো হয়। এই দিন কলম্বিয়াবাসীরা সাদা থেকে নানা রং বেরঙের মোমবাতি জ্বালিয়ে রাস্তা থেকে বাড়ি সব আলোকিত করে তোলে। এই প্রথা নোচে দে লাস ভেলিটাস বা নাইট অব দ্য লিটিল ক্যান্ডেলস নামে পরিচিত। এই প্রথার মাধ্যমে কলম্বিয়ায় শুরু হয় ছুটির মরসুম।
গুয়াতেমালার লা কুয়েমা দেল ডায়াবলো - La Quema del Diablo যার ইংরেজি অনুবাদ করলে দাঁড়ায় 'বার্নিং অফ দ্য ডেভিল'। গুয়াতেমালার স্থানীয়দের বিশ্বাস ডিসেম্বরের ৭ তারিখে, শুভক্ষণে শয়তানের কুশ পুতুল পোড়ানো ভাল। এতে তাঁদের ঘর বাড়ি এবং জীবন শুদ্ধ হয়ে যায়। ইতিবাচক শক্তির প্রভাব থাকে জীবনে।
ডেনমার্কে ক্রিসমাস ট্রির চারপাশে নাচ - এটি ডেনমার্কের ভারী মজার প্রথা। পরিবার বা বন্ধু বান্ধভ মিলে একে অপরের হাত ধরে ক্রিসমাস ট্রি'র চারপাশে বিশেষ নাচ করেন। ক্রিসমাসে পাওয়া উপহার খোলার আগে সবাই মিলে বিশেষ এই নাচে মেতে ওঠেন।
ফিনল্যান্ডে কবরস্থান পরিদর্শন - ক্রিসমাস খ্রীস্ট ধর্মালম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র অনুষ্ঠান। বড়দিনের আগে ফিনল্যান্ডে কবরস্থানে গিয়ে পরিবারের পূর্ব পুরুষদের সম্মান জানিয়ে মোমবাতি জ্বালানোর প্রথা রয়েছে। বড়দিনের দুপুরে পরিবারের সকলে মিলে একসঙ্গে ক্রিসমাস সনা পালন করেন। এটি এক বিশেষ ঐতিহ্য, মনে করা হয় এর মাধ্যমে শরীর, মন পরিশুদ্ধ হয়।