Banana: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে রোজ কলা খাচ্ছেন? শরীরে কী প্রভাব পড়ে জানেন?

Banana: কলা এমন একটি ফল, যা সারা বছর পাওয়া যায়, দাম কম, খেতে সহজ এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। কিন্তু প্রতিদিন কলা খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা থাকে—এটি শরীরের জন্য সবসময় উপকারী, নাকি কোনও ক্ষতিকর প্রভাবও ফেলতে পারে?

Aug 09, 2025 | 6:27 PM

1 / 8
কলা এমন একটি ফল, যা সারা বছর পাওয়া যায়, দাম কম, খেতে সহজ এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। কিন্তু প্রতিদিন কলা খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা থাকে—এটি শরীরের জন্য সবসময় উপকারী, নাকি কোনও ক্ষতিকর প্রভাবও ফেলতে পারে?

কলা এমন একটি ফল, যা সারা বছর পাওয়া যায়, দাম কম, খেতে সহজ এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর। কিন্তু প্রতিদিন কলা খাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা থাকে—এটি শরীরের জন্য সবসময় উপকারী, নাকি কোনও ক্ষতিকর প্রভাবও ফেলতে পারে?

2 / 8
শক্তির ভাল উৎস। কলা প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট ও প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ) সমৃদ্ধ। এটি খুব দ্রুত এনার্জি দেয়, তাই খেলোয়াড়, পরিশ্রমী শ্রমিক বা ব্যায়ামের আগে-পরের জন্য আদর্শ খাবার।

শক্তির ভাল উৎস। কলা প্রাকৃতিক কার্বোহাইড্রেট ও প্রাকৃতিক চিনি (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ) সমৃদ্ধ। এটি খুব দ্রুত এনার্জি দেয়, তাই খেলোয়াড়, পরিশ্রমী শ্রমিক বা ব্যায়ামের আগে-পরের জন্য আদর্শ খাবার।

3 / 8
কলা ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা পেকটিন হজমপ্রক্রিয়া মসৃণ করে এবং অন্ত্রের সুস্থ ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কলা পটাশিয়ামের অন্যতম উৎকৃষ্ট উৎস। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

কলা ডায়েটারি ফাইবার সমৃদ্ধ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া এতে থাকা পেকটিন হজমপ্রক্রিয়া মসৃণ করে এবং অন্ত্রের সুস্থ ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কলা পটাশিয়ামের অন্যতম উৎকৃষ্ট উৎস। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

4 / 8
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। কলা ট্রিপটোফ্যান নামের অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে, যা শরীরে সেরোটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। সেরোটোনিন মন ভালো রাখতে এবং স্ট্রেস কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। কলা ট্রিপটোফ্যান নামের অ্যামিনো অ্যাসিড সরবরাহ করে, যা শরীরে সেরোটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। সেরোটোনিন মন ভালো রাখতে এবং স্ট্রেস কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

5 / 8
পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম পেশি শক্ত রাখতে ও ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়ামের শোষণও বৃদ্ধি করে, ফলে হাড় মজবুত হয়। মাঝেমধ্যে ও পরিমিত কলা খাওয়া কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে, কারণ পটাশিয়াম কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম পেশি শক্ত রাখতে ও ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়ামের শোষণও বৃদ্ধি করে, ফলে হাড় মজবুত হয়। মাঝেমধ্যে ও পরিমিত কলা খাওয়া কিডনির কার্যকারিতা উন্নত করতে পারে, কারণ পটাশিয়াম কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

6 / 8
ক্ষতির দিকটিও মাথায় রাখা জরুরি। একটি মাঝারি সাইজের কলায় প্রায় ১০০–১২০ ক্যালরি থাকে। প্রতিদিন অতিরিক্ত কলা খেলে ওজন বাড়তে পারে, বিশেষ করে যদি আপনার ক্যালরি খরচ কম হয়। যদিও কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি, তবুও ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

ক্ষতির দিকটিও মাথায় রাখা জরুরি। একটি মাঝারি সাইজের কলায় প্রায় ১০০–১২০ ক্যালরি থাকে। প্রতিদিন অতিরিক্ত কলা খেলে ওজন বাড়তে পারে, বিশেষ করে যদি আপনার ক্যালরি খরচ কম হয়। যদিও কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাঝারি, তবুও ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

7 / 8
অতিরিক্ত কলা খাওয়ায় রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা কিডনি সমস্যা বা হৃদযন্ত্রে অনিয়ম সৃষ্টি করতে পারে—তবে এটি বিরল এবং সাধারণত কিডনি রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কলার টায়রামিন নামের যৌগ মাইগ্রেনের ট্রিগার হতে পারে। আবার কারও কারও কলায় অ্যালার্জি হয়।

অতিরিক্ত কলা খাওয়ায় রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা কিডনি সমস্যা বা হৃদযন্ত্রে অনিয়ম সৃষ্টি করতে পারে—তবে এটি বিরল এবং সাধারণত কিডনি রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কলার টায়রামিন নামের যৌগ মাইগ্রেনের ট্রিগার হতে পারে। আবার কারও কারও কলায় অ্যালার্জি হয়।

8 / 8
সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ১–২টি মাঝারি আকারের কলা নিরাপদ ও উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শে খাওয়া উচিত। কিডনির দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকলে পটাশিয়াম নিয়ন্ত্রণের জন্য কলা বেশি খাওয়া ভাল।

সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন ১–২টি মাঝারি আকারের কলা নিরাপদ ও উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শে খাওয়া উচিত। কিডনির দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকলে পটাশিয়াম নিয়ন্ত্রণের জন্য কলা বেশি খাওয়া ভাল।