
রান্না যাই হোক না কেন, নুন যদি সঠিক পরিমাণে না পড়ে তা হলেই খাওয়াটাই বৃথা। কেবল রান্নায় স্বাদের জন্য নয়, শরীরের ভাল থাকার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ এই নুন। তবে সেখানেও পরিমাণে গোলমাল হলেই বিপদ।

নুন শরীরে কমে বা বেড়ে গেলে সোডিয়ামের মাত্রার হেরফের ঘটে। তার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, রক্ত জল হয়ে যাওয়ার মতো আরও নানা সমস্যা দেখা দেয়। আজকাল সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে আরও নানা রকম নুনের ব্যবহার দেখা যায়।

সাদা নুন বা বিট নুনের সঙ্গেই এখন বাজারে বেশ জনপ্রিয় পিঙ্ক সলট বা গোলাপি নুন। স্বাস্থ্যের জন্য বাস্তবে কোনটা ভাল? কোন নুন খাওয়া ভাল, জানেন?

সাদা লবণ এবং পিঙ্ক সল্ট, দুই সোডিয়ামের উৎস। সাদা লবণ রিফাইনড, এতে বাড়তি মাত্রায় আয়োডিন যোগ করা হয়, যা থেকে আয়োডিনের ঘাটতি মেটে। পিঙ্ক সল্ট খনি থেকে তোলা হয়। এতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম থাকে।

পিঙ্ক সল্টে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম থাকে, যা সাদা লবণের থেকে একে এগিয়ে রাখে। কিন্তু সবকিছুই ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। সাদা লবণে আবার আয়োডিন থাকে, যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

সাদা লবণ এবং পিঙ্ক সল্ট, দুইয়ের মধ্যেই সোডিয়াম থাকে। কিন্তু পিঙ্ক সল্টে সোডিয়ামের মাত্রা সামান্য কম। ফলে অনেক সময় বেশি ব্য়বহার করে ফেলি আমরা। এতে উচ্চ রক্তচাপ, কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

সাদা লবণ শোধন করার সময় অনেক ক্ষেত্রে খনিজ ঝেড়ে ফেলা হয়। নুন ঝরঝরে রাখতে, রাসায়নিক মেশানো হয়। সেই নিরিখে পিঙ্ক সল্ট রাসায়নিক মুক্ত। শুধুমাত্র পিঙ্ক সল্ট খেলে আয়োডিনের প্রয়োজনীয়তা পুরোপুরি মিটবে না। তার সঙ্গে ডিম, দুধ, সিফুড খাওয়া জরুরি। সাদা লবণ এদিক থেকে এগিয়ে।

পিঙ্ক সল্ট শরীরকে বিষমুক্ত রাখে বলে মনে করা হয়। এতে খনিজের পরিমাণ যেহেতু বেশি, তাই এমন ধারণা। কিন্তু এর সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি। বরং মানবশরীর নিজেই নিজেকে বিষমুক্ত রাখতে সক্ষম। তবে যে লবণই খান না কেন, বেশি না খাওয়াই ভাল। (সব ছবি - Getty Images and Unplash)