
শীত মানেই ভালোমন্দ খাওয়ার লোভ হয়। বছরে মাত্র দু-তিনমাস শীতের স্থায়িত্ব। আর এই শীতের দিনে হিং-এর কচুরী খেতে খুব ভাল লাগে। শীত পড়লেই বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হয় কড়াইশুঁটির কচুরি

এই সময় বাড়িতে বাড়িতে পিঠে পুলির ধুম পড়ে যায়। শীতের দিনে পায়েস, পিঠেপুলি এসব খেতে বেশ ভাল লাগে। এই সময় আবহাওয়া ভাল থাকায় খাবার ভাল হজম হয়। যে কারণে তেল-মশলাদার খাবার খেতে ইচ্ছে করে

শুধু তাই নয় এই সময় পার্টি-পিকনিক এসব লেগেই থাকে। আর ব্রেকফাস্টে জমিয়ে হিং এর কচুরি খেতে কার না ইচ্ছে করে। তাই যত্ন করে এই কচুরি বানিয়ে নিন বাড়িতেই। রইল দারুণ একটি রেসিপি

একটা বড় পাত্রে চার বাটি ময়দা নিয়ে পরিমাণ মতো নুন, হাফ চামচ চিনি, চার চামচ সাদা তেল দিয়ে ভাল করে সবকিছু মিশিয়ে নিতে হবে। এবার অল্প অল্প জল দিয়ে ময়দা মেখে নিতে হবে। এবার ময়দা একদিকে রেখে দিন

কড়াই গরম করে তেল গরম করে গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা একটু হিং দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এরপর হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, ধনেগুঁড়ো, ভাজা মশলার গুঁড়ো, সামান্য নুন দিয়ে নেড়েচেড়ে নিয়ে একবাটি টমেটো কুচি আর কাঁচা লঙ্কা চিরে দিন

মশলা কষে এলে সেদ্ধ করে ছোট টুকরো করে কেটে নেওয়া আলু দিন। মশলার সঙ্গে তা ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে, এবার স্বাদমতো জল দিয়ে ফুটতে দিন। উপর থেকে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিতে হবে, মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন

ময়দা মেখে ১ ঘন্টা মচ রাখলেই নরম হয়ে যাবে। হাতে ঠেসে এবার লেচি কেটে নিতে হবে। এবার বানাতে হবে হিং এর পুর। বড় একবাটি ছাতু নিয়ে এর মধ্যে হিং এক চামচ, স্বাদমতো নুন, ভাজা মশলার গুঁড়ো, হাফ চামচ চিনি দিয়ে মিশিয়ে নিন

ময়দার লেচি কেটে ওর মধ্যে হিং এর পুর ভরে চারিদিক থেকে মুড়ে দিতে হবে। হাত দিয়ে গোল করে নিয়ে বেলে নিতে হবে। যাতে পুর না বেরিয়ে যায়। বড় সাইজের বেলে নিতে হবে। এবার গরম তেলে ভেজে নিলেই তৈরি কচুরি