
রোজ রোজ একই রকম খাবার খেতে মোটেই ইচ্ছে হয় না। এদিকে অফিসের তাড়ায় ভাত-ডাল-তরকারি-মাছ-ডিম ছাড়া অন্য কিছু রান্না করার সময়ও থাকে না

যাঁরা রোজ বাড়ি থেকে খাবার আনেন তাঁরাও বেশি কিছু আনতে পারেন না। বাড়িতে যত সুন্দর ভাবে গুঠিয়ে খাবার খাওয়া যায় সেই সুযোগ অফিসে থাকে না। যে কারণে মনের মতন করে খাওয়া হয় না

অনেক সময় এরকমও হয় যে বাড়ির খাবার ফেলে একরকম জোর করেই বাইরের খাবার খাওয়া হয়ে গেল। এই খাবার খেতে যে খুব ভাল লাগে তা নয় আর শরীরের জন্য একরকম খাবার মোটেই ভাল নয়

স্বাদ বদলাতে আর খাবারে রুচি ফেরাতে নিজেই পছন্দমতো খাবার বানান বাড়িতে। লাঞ্চবক্স এমন হোক যাতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট সবটা সম পরিমাণে থাকে। ভাতের সঙ্গে একবাটি করে স্যালাড অবশ্যই রাখবেন

ভাতের পরিমাণ কম রাখুন। ৫০ গ্রামের বেশি নয়। সঙ্গে একবাটি যে কোনও সবজি, ডাল, একটা মাছ বা মাংস বা ডিমের কারি রাখতে পারেন। রোজ একই রকম তরকারি খেতে ভাল লাগে না। কুমড়ো, লাউ, পেঁপে, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙে, পটল সব ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খান

কুমড়ো অথবা লাউ চিংড়ি মাছ দিয়ে বানাতে পারেন। আবার পুঁইডাটা দিয়ে কুমড়ো খেতেও বেশ লাগে। মোটকথা পছন্দমত একটা সবজি রাখুন, তেতো খান। সেই সঙ্গে রইল নতুন একটি রেসিপি আইডিয়া

কুমড়ো পাতায় মুড়ে ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ অথবা ছোট মাছের চচ্চড়ি এসব অনেকেই খেয়েছেন। এছাড়াও কুমড়ো পাতা তরকারিতে দিলেও খেতে মন্দ লাগে না। এভাবে কুমড়ো পাতা খাওয়া সহজ আর খেতেও বেশ লাগে

আলু ঝিরি ঝিরি করে কেটে নিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এবার এই আলুর মধ্যে পেঁয়াজ, লঙ্কা কুচি, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো হাফ চামচ চালগুঁড়ি আর বেসন দিয়ে ভাল করে মেখে নিতে হবে পাতা ধুয়ে নুন মাখিয়ে রাখুন। এবার পাতার মধ্যে আলু দিয়ে পুরে ভাল করে বেঁধে দিতে হবে। এরপর বেসন-চালগুঁড়োর মিশ্রণে ডুবিয়ে ভেজে নিতে হবে