
পেটের গণ্ডগোল, প্রেশার হাই, শরীরে ল্যাথার্জি—এমন হাজারো সমস্যার সমাধান রয়েছে পাকা পেঁপেতে। এই ফল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি দেহে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে।

পাকা পেঁপের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ইমিউন ফাংশনকে সচল রাখতে, ক্ষত সারাতে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এছাড়াও পাকা পেঁপেতে থাকা ভিটামিন এ, দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে।

পাকা পেঁপের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে, যা হজম স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। পাশাপাশি এটি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

পাকা পেঁপের মধ্যে বেশ ভাল পরিমাণে পটাশিয়াম পেয়ে যাবেন, যা রক্তচাপকে বশে রাখে এবং হার্টের কার্যকারিতায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া পেশি ও নার্ভের ফাংশন সচল রাখে।

পাকা পেঁপের মধ্যে ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন ই-এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পেয়ে যাবেন। এগুলো দেহে কাজ করার এনার্জি জোগায়, হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এছাড়া ভিটামিন ই ফ্রি র্যাডিকেলের হাত থেকে কোষকে রক্ষা করে।

রোজের ডায়েটে পাকা পেঁপে রাখলে আপনি একাধিক রোগের হাত থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। এই ফলে থাকা লাইকোপেন ক্যানসারের ও হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।

দিনের শুরুতেই আপনি পাকা পেঁপে খেতে পারেন। ব্রেকফাস্টে টক দই, সিরিয়াল বা ওটমিলের সঙ্গে পাকা পেঁপে খেতে পারেন। এছাড়া কলা, আম বা আনারসের মতো ফলের সঙ্গে পাকা পেঁপে, আমন্ড মিল্ক বা টক দই মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে নিন।

দিনের যে কোনও সময় আপনি পাকা পেঁপে খেতে পারেন। স্যালাদ হিসেবে পাকা পেঁপে খেতে পারেন। কিংবা আদা, ধনে, জিরে, লঙ্কার মতো উপাদান দিয়ে পাকা পেঁপের চাটনি বানিয়ে খেতে পারেন।