
শীতকালে আদা-এলাচ দিয়ে মশলা চা, সারাদিনের ক্লান্তি কেড়ে নেয়। এই মশলা চা ২০২৩-এর নন-অ্যালকোহলিক পানীয়ের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তা শুধু কি স্বাদের জন্য নাকি রয়েছে উপকারিতাও?

শীত হোক বর্ষা, যে কোনও ঋতুতে মনকে ভাল করে দিতে পারে এক কাপ মশলা চা। এই মশলা চা শুধু যে স্বাদের দিক দিয়ে সেরা তা নয়। মশলা চায়ের গুণাগুণও অনেক। মশলা চাকে স্বাস্থ্যকর বললেও ভুল হবে না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই চা।

মশলা চায়ের মধ্যে ক্যাটেচিন, থিয়াফ্লাভিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এসব অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ চাপ কমায় এবং ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এমনকি দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক মশলা চা।

মশলা চা বানানো হয় আদা, এলাচ, দারুচিনি ও লবঙ্গ দিয়ে। তাই এই চায়ের মধ্যে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ভিটামিন কে রয়েছে। মশলা চা খেলে এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান সংক্রমণ ও ভাইরাসের হাত থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখবে।

মশলা চায়ের মধ্যে ক্যাফেইন রয়েছে, যা আপনাকে কাজ করার এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি মস্তিষ্ক ও হার্টে এনার্জি প্রদানের মাধ্যমে কার্যকারিতা উন্নত করে।

মশলা চা খেলে হজম স্বাস্থ্য উন্নত হয়। মশলা চা দেহের অক্সিজেন ও রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে প্রতিটা অঙ্গের কার্যকারিতা উন্নত করে। যার মধ্যে পাচনতন্ত্রও রয়েছে। পাশাপাশি এই চা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

মশলা চা খেয়ে আপনি ওজন কমিয়ে ফেলতে পারেন। এই চা আপনার মেটাবলিজম বাড়িয়ে শরীরের বাড়তি মেদ গলাতে সাহায্য করে। তাছাড়া মশলা চায়ে থাকা দারুচিনি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং এনার্জির মাধ্যমে ওজন কমাতে সহায়ক।

এক টুকরো দারুচিনি গুঁড়ো করে নিন। তার সঙ্গে ২-৩টে এলাচ, ২ লবঙ্গ এবং এক টুকরো আদা থেঁতো করে নিন। ২ কাপ জল গরম বসান। এর মধ্যে সমস্ত মশলা মিশিয়ে দিন। এরপর চা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে দুধ ও চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন মশলা চা।