প্রাতরাশের মেন্যুতে এখন অনেকেই ওটস রাখতে পছন্দ করেন। রান্না করার ঝামেলা। আর খেলে উপকারও মেলে অনেক। এই সুযোগে অল্প ওটস ত্বকের জন্য সরিয়ে রেখে দিন। এই গরমে ত্বকের যত্ন নিতেও জুড়ি মেলা ভার ওটসের।
যাঁদের তৈলাক্ত ত্বক তাঁদের জন্য এই ওটস দারুণ উপকারী। যদিও গরমে অনেকের মুখেই তেলতেলে ভাব দেখা যায়। ওটস ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে সাহায্য করে। তাই গ্রীষ্মকালের রূপচর্চা যদি ওটস দিয়ে সেরে ফেলেন, তাহলে অনেক টাকা বেঁচে যাবে।
রোদে বেরোলে ত্বকে ট্যান পড়ে, প্রদাহ দেখা দেয়। এমনকী ত্বকের উপর ফুসকুড়ি, র্যাশ, লালচে ভাবের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা দূর করে দেয় ওটস। এমনকী ওটস যে কোনও ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। যার জেরে ব্রণর সমস্যাও কমে যায়।
অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে যে, ত্বকের যত্নে কীভাবে ওটস ব্যবহার করবেন। এই সমাধানও রয়েছে। ওটসের ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য প্রথমে ওটস গুঁড়ো করে রেখে দিন। তারপর বানিয়ে নিন নিম্নলিখিত ফেসপ্যাকগুলো।
এক টেবিল চামচ ওটস পাউডার নিন। এর সঙ্গে দুই চামচ তাজা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিন। এবার এই ফেসপ্যাক ত্বকের উপর ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিটের জন্য এটা ত্বকের উপর লাগিয়ে রাখুন। তারপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
গরমে ত্বকে সতেজতা ফিরে পেতে ওটস ও শসার ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। দুই টেবিল চামচ ওটসের গুঁড়ো নিন। এতে শসা গ্রেট করে মিশিয়ে দিন। শসার রস ছেঁকে নিয়েও আপনি ওটসের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে পারেন। এই ফেসপ্যাক সপ্তাহে ৩ বার ব্যবহার করলেই আপনার মুখে সতেজ ভাব ফিরিয়ে আনবে।
ব্রণর সমস্যা দূর করতে ওটসের সঙ্গে গোলাপ জল ও টমেটো বাটা মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটা ত্বকের উপর ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে অতিরিক্ত তেল ও ব্রণও দূর হয়ে যাবে।
ট্যান দূর করতে দু’চামচ ওট্সের গুঁড়োর সঙ্গে দু’চামচ লেবুর রস, এক চামচ মধু ও এক চামচ টক দই মিশিয়ে নিন। এবার এই ফেসপ্যাক ত্বকের উপর ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। জল দিয়ে ধুয়ে ফেললেই আপনার ট্যানও দূর হয়ে যাবে।